৪১তম বিসিএস নন–ক্যাডার থেকে কত জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা যাবে, তা নির্ধারণ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন–পিএসসি। কাল মঙ্গলবারের মধ্যে পদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করে দিতে হবে মন্ত্রণালয়কে। সে অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশের পরবর্তী কাজ করবে পিএসসি।
জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে কত জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা যাবে, তা নির্ধারণ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। কাল মঙ্গলবারের মধ্যে সময় দেওয়া হয়েছে। পদের তালিকা পেলে আমরা প্রার্থীদের সময় দিয়ে পদ বাছাই করার সুযোগ দেব। এরপর তাঁদের পছন্দের পদ ও তাঁদের যোগ্যতা হিসেবে তাঁরা যে পদ পান, তা নির্ধারণ করব। সবাই নিয়োগ পাবেন না। যোগ্যতা অনুসারে যিনি পদ পাবেন, তাঁর নাম প্রকাশ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সরকার তথা জনপ্রশাসন নিয়োগ দেয়। পিএসসি তা বাস্তবায়ন করে। চাকরিপ্রার্থীরা মনে করেন, পিএসসি চাইলেই নিয়োগ দিতে পারে। এটা সঠিক নয়। জনপ্রশাসন যত পদে নিয়োগ দিতে বলবে, পিএসসি তা–ই করবে।
৪১তম বিসিএস নন–ক্যাডার থেকে কত জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা যাবে, তা নির্ধারণ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন–পিএসসি। কাল মঙ্গলবারের মধ্যে পদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করে দিতে হবে মন্ত্রণালয়কে। সে অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশের পরবর্তী কাজ করবে পিএসসি।
জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে কত জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা যাবে, তা নির্ধারণ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। কাল মঙ্গলবারের মধ্যে সময় দেওয়া হয়েছে। পদের তালিকা পেলে আমরা প্রার্থীদের সময় দিয়ে পদ বাছাই করার সুযোগ দেব। এরপর তাঁদের পছন্দের পদ ও তাঁদের যোগ্যতা হিসেবে তাঁরা যে পদ পান, তা নির্ধারণ করব। সবাই নিয়োগ পাবেন না। যোগ্যতা অনুসারে যিনি পদ পাবেন, তাঁর নাম প্রকাশ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সরকার তথা জনপ্রশাসন নিয়োগ দেয়। পিএসসি তা বাস্তবায়ন করে। চাকরিপ্রার্থীরা মনে করেন, পিএসসি চাইলেই নিয়োগ দিতে পারে। এটা সঠিক নয়। জনপ্রশাসন যত পদে নিয়োগ দিতে বলবে, পিএসসি তা–ই করবে।
অধিকাংশেরই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়েছে। এ দীর্ঘসূত্রতার পরও বিসিএসের সব ধাপে উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৮২১ জন নন-ক্যাডার প্রার্থী যদি একটি সম্মানজনক চাকরি না পান, তাহলে এর চেয়ে হতাশার আর কিছু থাকবে না।’
৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকাভুক্ত পদপ্রার্থীরা এ মর্মে দাবি জানান যে ‘“নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩”–এর বিধান অনুযায়ী, সরকারের কাছ থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগের অধিযাচনপত্র প্রাপ্তি এবং নন-ক্যাডার পদে মেধাক্রম ও বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণ করে সুপারিশের লক্ষ্যে বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে সবার যথাযোগ্য চাকরি লাভের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতি অনুরোধ, যেকোনো বিসিএসে ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে যেন নন–ক্যাডার পদে সুপারিশ করা না হয়। তাহলে যেমন পদ নষ্ট হয়, তেমনই একজন চাকরিপ্রত্যাশী পদবঞ্চিত হন। নন–ক্যাডারে সুপারিশের ক্ষেত্রে যথারীতি সরকারি চাকরিতে থাকা কোনো প্রার্থীকে যেন তাঁর বর্তমান গ্রেডের থেকে নিচের গ্রেডে সুপারিশ করা না হয়। কেননা এ কারণে ওই প্রার্থী নিচের গ্রেডের পদে যোগদান করবেন না। অপর দিকে একজন চাকরিপ্রত্যাশী পদবঞ্চিত হবেন। আমাদের এ যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
গত ৬ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। পেশাগত ১৬টি ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কাউকে সুপারিশ করতে পারেননি পিএসসি। এ ছাড়া নন-ক্যাডারে ৯ হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন ৪ লাখের বেশি প্রার্থী।
২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ১০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ১৩ হাজার জন উত্তীর্ণ হন। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৬ জুন শেষ হয় ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা।
বিএসডি/এসএস