নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাবেক এক কৃষি কর্মকর্তার বাসা থেকে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার রাতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ৫১২ লিটার ভোজ্য তেল উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় তেল মজুতকারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লায়েকুজ্জামানকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে আজ (শনিবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লব কুমার সরকার জানান, ভোজ্য তেলের বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের কাজী নজরুল ইসলাম রোডের একটি বাসায় আমরা অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ৫১২ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় লায়েকুজ্জামান নামের সাবেক এক কৃষি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, লায়েকুজ্জামান প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যবসায়ী কিংবা ডিলার নন। তিনি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও বর্তমানে এলপিআরে রয়েছেন। বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে বৈধভাবে ৪০ লিটার তেল সংগ্রহ করেন। এই ৪০ লিটার তেলের বৈধ ভাউচার তার কাছে রয়েছে। কিন্তু বাকি তেল তিনি অবৈধভাবে সংগ্রহ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বৈধভাবে কেনা ৪০ লিটার তেলের ভাউচারের সঙ্গে অবৈধভাবে কেনা তেলের তালিকা নিজের হাতে লিখেন। তিনি মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের একটি দোকান থেকে ৪০ লিটার তেল কিনেছেন।
বাকি তেল কোথায় থেকে কিনেছে তার কোনো সঠিক হিসাব তিনি দিতে পারেননি। বর্তমান বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি এ তেলগুলো অবৈধভাবে মজুত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। বাজারে তেলের মজুত বেড়ে যাওয়া কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য তিনি তেল কিনেছিলেন।
রমজানে তেলের সংকট থাকবে এবং উচ্চমূল্যে মজুদ করা তেল বিক্রি করবেন, এটাই তার উদ্দেশ্য ছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে তেলগুলো জব্দ করেছি এবং তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও যেসব অসাধু ব্যবসায়ী তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোপনে এবং প্রকাশ্যে নজরদারি রয়েছে। অতিরিক্ত তেলের দাম ও তেলের মজুত দেখা মাত্রই আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসডি/ এমআর