নিজস্ব প্রতিবেদক,
বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষ, গৃহপালিত পশু-পাখি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কাজে ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করা হবে ৬০টি রেসকিউ বোট (উদ্ধারকারী নৌকা)। এর মধ্যে ৮টি বোট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এই ৮টি বোট গ্রহণ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬০টির মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া ৮টি রেসকিউ বোট গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে গত বছরের ২১ জুলাই নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে রেসকিউ বোট নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আজকের দিনটি আমার জন্য স্মরণীয় একটি দিন, আনন্দেরও বটে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বপ্নের রেসকিউ বোট (উদ্ধারকারী নৌকা) আজ আর স্বপ্নে নয়, বাস্তবতা। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এমন একজন মানুষ, যিনি দেশচিন্তায় শুধু নয়, নিজেকে নিয়োজিত রাখেন বিশ্বমানবের কল্যাণে।
রেসকিউ বোটগুলো বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ, গৃহপালিত পশু-পাখি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কাজে ব্যবহার করা হবে। নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের রেসকিউ বোটের মাধ্যমে নিরাপদে উদ্ধার ও স্থানান্তরকাজ পরিচালনায় বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রতিটি বোটে একটি ফার্স্ট অ্যাইড বক্স, একটি হুইলচেয়ার, একটি স্ট্রেচার, একটি ওয়াকিং ফ্রেম, দুটি আলাদা টয়লেট, যার একটি সবার জন্য উন্মুক্ত এবং অন্যটি সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। প্রতিটি বোটে ৮০ জন যাত্রী ছাড়াও গৃহপালিত পশুপাখি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহন করা যাবে।
২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০টি রেসকিউ বোট নির্মাণের জন্যে গত বছরের ২১ জুলাই আমরা কার্যাদেশ দিয়েছিলাম নৌবাহিনী তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে।
এনামুর রহমান বলেন, আজ আমরা ৮টি বোট গ্রহণ করলাম। প্রতিবছর ২০টি করে তিন বছরে ৬০টি বোট সরবরাহ করা হবে। প্রতিটি বোট নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৪৫ লাখ টাকা।
বিএসডি/আইপি