নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ১৭২টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা ‘আর্টিকেল নাইনটিনের’ পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, করোনাকালে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে জনগণের তথ্য অধিকারের ক্রমাগত লঙ্ঘন ও সংকোচন ঘটেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে দায়ের হওয়া ১৭২টি মামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে সংস্থাটি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গত শনিবার (২ অক্টোবর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং অন্যান্য নিবর্তনমূলক আইনের সুযোগ নিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্য অধিকার হরণের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
তিনি বলেন, সভায় সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এই হত্যাকাণ্ড একটি গভীর আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। এর ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বদেশ প্রত্যাবাসনে বড় রকমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলো।