বর্তমান সময় ডেস্ক:
যখন অধিকাংশ মানুষ দুই স্ত্রী নিয়ে এক বাড়িতে শান্তিতে থাকতে পারেন না, তখন থাইল্যান্ডের এক যুবক আট স্ত্রী নিয়ে এক ছাদের নিচে বসবাস করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
অডিটি সেন্ট্রালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওং ড্যাম সোরোট নামের ওই ব্যক্তি পেশায় একজন ট্যাটু শিল্পী। তিনি একটি টিলিভিশন অনুষ্ঠানে নিজের এ ঘটনা তুলে ধরার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি শুধু ইউটিউবে এ পর্যন্ত ৩০ লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে।
তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, তার স্ত্রীরা একে অপরের সঙ্গে খুব ভালো এবং তারা সবাই মিলে মিষ্টি পারিবারিক সম্পর্ক বজায় রাখে।
সোরোট জানান, তিনি তার প্রথম স্ত্রী নং স্প্রিটকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখে পছন্দ করে ফেলেন। এরপর তাকেও স্প্রিটের পছন্দ হলে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং বাকিটা ইতিহাস।
একইভাবে, সোরোটের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নং এলের দেখা হয় মার্কেটে, যা ছিল প্রথম দর্শনেই প্রেম। বিস্ময়করভাবে, এই নারীও সোরোটের প্রথম স্ত্রী থাকা সত্বেও তার সঙ্গে ঘর বাঁধতে রাজি হন।
সাক্ষাৎকারে সোরোট জানান, তার সঙ্গে তৃতীয় স্ত্রীর দেখা হয় হাসপাতালে এবং তার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে যথাক্রমে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও টিকটকে।
এরপর সোরোট যখন একটি মন্দিরে তার মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন, তখন নং ফিল্ম নামে এক নারীর সঙ্গে তার দেখা হয়। যখন তিনি বিয়ে করতে ফিল্মের হাতটি ধরতে চান, সে-ও না বলতে পারেনি।
এই ‘ভাগ্যবান যুবক’ তার শেষ অষ্টম স্ত্রীর দেখা পান যখন তিনি পাতায়ায় অবকাশ যাপনে ছিলেন। বিস্ময়করভাবে, যখন তিনি নতুন করে প্রেমে পড়েন তখন ওই ট্রিপে তার সঙ্গে আরও চার স্ত্রী ছিল।
তার স্ত্রীরা জানান, ‘তিনি (সোরোট) সম্ভবত আমাদের দেখা সবচেয়ে যত্নশীল ও সুবিবেচক মানুষ।’
তারা আরও বলেন, ‘তিনি (সোরোট) আমাদের সঙ্গে সদাচার করেন এবং আমাদের ঝগড়া করার কিছু নাই।’
ওই নারীরা বলেন, তারা তার (সোরোট) প্রেমে পাগল।
নারীরা টাকার জন্য বিয়ে করেছেন এমন গুজব প্রত্যাখ্যান করে সোরোট বলেন, আমার পরিবারের প্রত্যেক সুদস্য দায়িত্বশীল এবং আমরা স্ত্রীরা কাজকর্ম করে অথবা খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রসাধনী এবং হস্তশিল্প বিক্রি করে উপার্জন করে।
সূত্র: জিও টিভি।
বিএসডি/ এলএল