এমজি বিপ্লব চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
জেলা প্রতিনিধি:
মৃত মানুষকে কবরে শায়িত করাকে বলা হয় দাফন করা। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী মারা গেলেই শুরু হয় কবর খোড়াখুঁড়ি। তারপর তাকে সেই কবরে শরিয়ত মোতাবেক দাফন করা হয়। কিন্তু পাবনায় দেখা মিললো একটি জীবিত মানুষের কবর!
পাবনার এমজি বিপ্লব চৌধুরী জীবিত থাকতে কিনেছেন কবরের জায়গা। এরপর সেটিকে টাইলসে বাঁধিয়ে সাজিয়েছেন বেশ সুন্দর করে। আর সেটির নামফলকে লেখা- ‘এমজি বিপ্লব চৌধুরী (সাংবাদিক) এর কবরের জন্য সংরক্ষিত স্থান।’
নিজের মতো করে সেই কবরের যত্ন নিচ্ছেন বিপ্লব চৌধুরী। সপ্তাহে অন্তত দুই বার আসেন কবরস্থানে, দোয়া করেন সব কবরবাসীর জন্য। তিনি বলেন, ‘কবরকে চোখের সামনে যখন আমি দেখি, তখন মনে হয় আমি যেন কবরের মধ্যেই আছি। আর আমাকে যেন কবর বলছে, তুমি পরিশুদ্ধ হয়েই এখানে আসো। তোমার আত্মাকে তুমি পরিশুদ্ধ করো।’
কার কবর কোথায় হতে পারে, সেটা কেউই জানে না। তবুও বিপ্লব চৌধুরীর আশা, তাকে যেন এই কবরেই শায়িত করা হয়। বিপ্লব চৌধুরী বলেন, আমার আসল ঠিকানা তো এই কবরস্থান। তাই আমি নিয়ত করলাম, আসল বাড়িই আগে করবো, যেখানে আমাকে অনন্তকাল থাকতে হবে।
স্থানী একটি পত্রিকার সম্পাদক এমজি বিপ্লব চৌধুরী। সাংবাদিকতা পেশায় তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমার সম্পাদনায় দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। একটি বাংলা ও অন্যটি ইংরেজি। এগুলো স্থানীয় পত্রিকা।
এমজি বিপ্লব চৌধুরীর এমন কর্মকাণ্ডকে বেশিরভাগ মানুষই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে অনেকে বলছেন, কবরের ভয় থাকা ভালো। তবে জীবিত থাকা অবস্থায় কবর খোঁড়ার নজিরটা একটু বাড়াবাড়িই।