আগামী প্রজন্মে বড় তারকা হওয়ার সম্ভাবনা যে কয়েকজনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তাদের একজন আর্লিং হালান্ড। ইতোমধ্যেই বুন্ডেসলিগার ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই ফরোয়ার্ড। ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর নজরও ভালোভাবেই আছে তার দিকে।
এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটির নাম। তাদের মধ্যেও আলাদা বার্সেলোনা। ক্লাবটি এমনিতেই আর্থিক দুরবস্থায় আছে। এত চড়া দামের খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানোর সামর্থ্য কি বার্সার আছে? হালান্ডকে দলে নিতে হলে খরচ করতে হবে ৩০০ মিলিয়নের মতো।
তবে তরুণ তারকার এজেন্ট মিনো রাইয়োলা ইঙ্গিত দিয়েছেন, বার্সায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে হালান্ডের। অনেকে নানা হিসাব কষে সেটিকে আরও জোরালো করেছেন। তবে তার বার্সায় যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখেন না খোদ লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস।
লা লিগার টুয়েন্টি নাইন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না বার্সেলোনার পক্ষে হালান্ডকে দলে ভেড়ানো সম্ভব। কারণ তাদের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও বাধ্যবাধকতা। এখানে অনেক ধরনের অবস্থা আছে। তার ওপর হালান্ডের অ্যাজেন্ট রাইওলা সে অল্প দামে বিক্রি করবে না, বেশি দাম চাইবে।’
চলতি মৌসুম শুরুর আগে ক্লাবগুলোর জন্য একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল লা লিগা। কিন্তু সিভিসি চুক্তি করতে রাজি হয়নি বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাবগুলো। শেষ পর্যন্ত আর হয়নি ওই চুক্তি। এটি হলে অবশ্য অনেকটাই কমে যেত বার্সার দুরবস্থা। কেন তারা এই চুক্তিতে যায়নি, বুঝতে পারছেন না তেবাস।
তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমি জানি বার্সেলোনা সিবিসি নিয়ে কথা বলেছে। কিন্তু এটা জানি না তারা কোন ব্যাপারে আলোচনা করছে। যখন রিয়াল মাদ্রিদ এটাতে জড়ালো তখনই সব ভীতিকর হয়ে গেছে। আমরা এতে অভ্যস্ত। আমাদের ৫০ এর বেশি আছে আমরা জানি আরও হবে। যদি আমি হুমকি নিয়ে ভাবতাম, তাহলে এখানে থাকতাম না।’
এসএ