প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বর্তমানে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এর হার আরোও এক শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২১-এ এমন সুপারিশ করেন তিনি।
বণিক বার্তার আয়োজনে অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বর্তমান গভর্নর ফজলে কবির।
অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।
দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। সঞ্চালনা করেন বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
আতিউর রহমান বলেন, কোভিড-১৯’র কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বড় যে তিনটি খাত ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে রেমিট্যান্স অন্যতম। যে কারণে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা আরো এক শতাংশ বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক এ গভর্নর আরো বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে দেশের কৃষি খাত ছিল রক্ষাকবচ। এর পরেই ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী আয় ও রফতানি খাত। এছাড়া টেকসই অর্থনীতি বাস্তবায়নে আটটি সুপারিশ করেন তিনি।
প্রবাসী বন্ড কেনায় এক কোটি টাকার যে সীমা নির্ধারণ আছে সেটাকে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনে এক কোটি টাকার উপরে বন্ডে বিনিয়োগের সুদহার কমানো যেতে পারে।
দেশের অর্থনীতিতে বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করেন আতিউর রহমান। বলেন, করোনাকালে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি যখন ধসে গেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি তখনও দাঁড়িয়েছিল। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে।
আতিউর বলেন, করোনার ফলে আমাদের আমদানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। আশার কথা হলো, এর বেশিরভাগই কাঁচামাল। ফলে এটা শিল্পের জন্য সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ভরসার প্রতীক। এই ভরসা ধরে রাখতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি ও টেকসই হবে।
বিএসডি/ এসএ