জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানী ঢাকাতে তাপমাত্রা বাড়ল এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আজকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়াতে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকের তাপমাত্রা এরকমই থাকবে। বরং কাল (রোববার) কিছুটা বেড়ে আবার রাতের দিকে কমতে পারে। তবে ১০ জানুয়ারি থেকে আকাশে মেঘ দেখা দিলে তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বৃষ্টির রেশ কেটে যাওয়ার পর আবারও তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বজলুর রশিদ বলেন, ‘বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমতে থাকলে আবার শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এ মাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ হবে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগের যশোর, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, শ্রীমঙ্গলে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রাজধানীতে সেভাবে শৈত্যপ্রবাহ আসবে না।’
গত ২ জানুয়ারি চলতি মাসের পূর্বাভাস দিতে মিটিংয়ে বসেছিল আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই সভা থেকে জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে তারা বলেছে, বছরের সবচেয়ে শীতলতম মাস জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ তিনটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এর মধ্যে একটি তীব্র আকার ধারণ করতে পারে এবং জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে একটি তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম থাকতে পারে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কখনো কখনো দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বিএসডি/এসএ