নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদ পরবর্তী সময়ে উৎপাদনমুখী সব শিল্প কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধে শর্ত সাপেক্ষে রোববার (১ আগস্ট) থেকে চালু হয়েছে এসব কারখানা।
মালিকরা জানিয়েছেন, প্রথম দিনে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শ্রমিক উপস্থিত হয়েছেন। কর্মীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কারখানায় প্রবেশ করানো হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের বাণিজ্য সংগঠনগুলো সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রম অঞ্চল ভিত্তিক বিশেষ পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করা হয়েছে। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম অঞ্চল) সৈয়দ নজরুল ইসলাম দৈনিক বর্তমান সময়কে বলেন, চট্টগ্রামে নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকরা কারখানায় উপস্থিত হয়েছেন। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানায় প্রবেশ করেছেন।
শ্রমিক উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের তৈরি পোশাক খাতের কারখানাগুলোতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ শ্রমিক উপস্থিত হয়েছেন।
ঢাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি (ঢাকা অঞ্চল) শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, ঢাকায় শ্রমিক উপস্থিতি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। কোনো কোনো কারখানায় ৯৫ শতাংশ শ্রমিক উপস্থিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করে থাকেন। এখন বিষয়টি আরও জোরদার করা হয়েছে। করোনার শুরুতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ১০টি টিম গঠন করা হয়। তা এখন বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়েছে। এসব টিম শ্রম অঞ্চলগুলোতে সরাসরি কারাখানায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতির বিষয়ে বিকেএমইএ সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শ্রমিক উপস্থিতি গড়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। বিকেএমইএর পক্ষ থেকে সদস্য কারখানায় সার্বক্ষণিক খোজ রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শ্রমিকরা কাজে অংশগ্রহণ করছেন।
বিএসডি/এমএম