নিজস্ব প্রতিবেদক,
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির আওলাই ইউনিয়নের ছাতিনালী বাজারে সম্পত্তি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদ্যসের পক্ষ থেকে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে করে। জমি কবলাকারী ছাতিনালী গ্রামের সামছুদ্দিন আকন্দ ও বিক্রয়কারী মৃত কেদার চন্দ্র দাসের ছেলে গোপাল চন্দ্র দাস এবং তার ছোটভাই নেপাল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদেকে লিখিত বক্তব্যে জানান।, একই ইউনিয়নের নওগা কাঁঠালি মৌজার ডাক্তার খয়বর আলী গত ২০০০ ইং সালে মৃত কেদার চন্দ্র দাসের নিকট থেকে কবলা দলিল সূত্রে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন।
২০০২ ইং সালে কেদার চন্দ্র দাস মৃত্যুবরণ করলে মৃত্যুর পরে র্দীঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ডাক্তার খয়বর আলী কেদার চন্দ্র দাসের নিকট থেকে আরও ১১ শতক সম্পত্তি বায়না সূত্রে মালিকানা দাবী করে আদালতে মামলা করে। মামলাতে তিনি একটি ডিগ্রি পেয়েছেন। সেই ডিগ্রির বিষয়টি জানতে পেরে আমরা কেদার চন্দ্র দাসের ছেলেরা ঐ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছি।
অপর দিকে ছাতিনালী গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন আকন্দের ছেলে সামছুদ্দিন আকন্দ, গোপাল চন্দ্র দাসের নিকট থেকে ৬ শতক জমি কবলা করেন, এবং সেখানে দীর্ঘদিন থেকে তেলের ব্যবসা করছিলেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে জায়গাটিতে সামছুদ্দিন অবকাঠামো মেরামত করতে গেলে ডাক্তার খয়বর আলীর লোকজন বাঁধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেন সামছদ্দিন।
ছাতীনালী বাজারের নৈশ্য প্রহরী সাহারুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রতিবেশীরা জানান যে, ডাক্তার খয়বর আলীর জমির কাগজপত্র সঠিক। সেই সাথে ডাক্তার নিজেই এখানে প্রায় ২০ বছর যাবত বসবাস করছেন আবার তার দখলেই রয়েছে। দলিলের সেই কাগজে সামছুদ্দিনের স্বাক্ষর আছে বলেও জানান তারা।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল জানান, বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার লক্ষে আমি কয়েক দফা দেন-দরবার করে দুই পক্ষকে নিজেদের অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম তারা মেনেও নিয়েছিল। পরে আমার সেই সিদ্ধান্ত ডাক্তার খয়বর আলী মেনে নেননি।
এ ব্যাপারে ডাক্তার খয়বর আলী জানান, আমার সকল কাগজপত্র সঠিক রয়েছে এবং আদালত আমার পক্ষে রায়ও দিয়েছে। তিনি আরও জানান, আমি ২০ বছরেরও বেশি আগে জমি ক্রয় করেছি আবার জমি আমার দখলেই রয়েছে। আমি গ্রামে না থাকায় কিছু মানুষ তাদেরকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। তাদের পরিবারের সাথে আমার অনেক ভালো সর্ম্পক। আবার তারা যে কোন বিপদ আপদে আমার কাছে সহায়তা নিতে আসে আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আইনের মাধ্যমে তারা যদি আমার জমি পেয়ে থাকে আমি দিতে বাধ্য থাকবো বলেও জানান তিনি।
বিএসডি/আইপি