নিজস্ব প্রতিবেদক,
শেরপুর হু হু করে বেড়েই চলছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত জুলাই মাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক। আগস্টেও অব্যাহত রয়েছে এই ধারা। জুলাই মাসে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। আর আগষ্টের শুরুতেই একদিনেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শেরপুরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালে ৫ এপ্রিল। এরপর থেকে একজন দুইজন করে শনাক্ত হলেও চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়ে গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ বলেন, করোনার শুরু থেকে (৫ এপ্রিল-২০২০ থেকে ১ আগস্ট-২০২১ পর্যন্ত) সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছে ৩৬২৭ জন। মোট মৃত্যু ৭৪ জন। এর মধ্যে গত জুন পর্যন্ত (১৫ মাসে) আক্রান্ত ১৫৯৪ জন আর মৃতের সংখ্যা ছিল ৩০ জন। এরপর জুলাই মাসে আক্রান্ত ১৯৭২ জন ও মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। ১ আগস্ট মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, আক্রান্ত হয়েছে ৬১ জন। সরকারি এই হিসাবের বাইরে জুলাইয়ে করোনায় ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে অন্তত ১২ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে কত মানুষ মারা গেছেন তার কোনো হিসাব নেই।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনের সুফল সপ্তাহখানেক পরে পাওয়া যাবে। করোনা কমতে পারে। তবে বেড়ে গেলে পরিস্থিতি সামলাতে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তত আছে। সেবার মান বাড়াতে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের লোকবল সমস্যা রয়েছে। যা আছে তা দিয়েই আমাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে লোকবল সংকট আর করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ১শ বেড রাখা হয়েছে। করোনা বেড়ে যাওয়ায় ১শ জনের বেশি করোনারোগী এখন এ হাসপাতালে ভর্তি থাকছেন। কিন্তু এ হাসপাতালে ৫২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৯ জন। এছাড়াও অন্যান্য জনবলও রয়েছে অনেক কম। এতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা।
বিএসডি/আইপি