ক্রীড়া ডেস্ক,
ভারতের করনা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় মাঝপথেই স্থগিত হয় ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ায়ন প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ভারতে শুরু হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কমিটি। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ।
বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান টুর্নামেন্টের প্রথম অংশে খেললেও তাদের শেষ অংশে খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। একই সময়ে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। তবে ইংল্যান্ড সে সফর স্থগিত করায় আইপিএল খেলার সুযোগ পাচ্ছেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, অনাপত্তিপত্রের আবেদন করলে তাদের আইপিএলে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে।
বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজ হলে সাকিব ও মোস্তাফিজ খেলার সুযোগ পেতো না। এখন যেহেতু সিরিজটি হচ্ছে না, যদি তারা আবেদন করে আমরা অনাপত্তিপত্র দেবো। মনে হচ্ছে না এতো দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক কোনও সিরিজ আয়োজন করা যাবে। ফলে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ আছে।
আইপিএল খেললেও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলা হচ্ছে না সাকিবের। আগামী ২৬ আগস্ট থেকে ১৫ সপ্টেম্বর হবে সিপিএল। কিন্তু ওই সময় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ আছে। তাই সাকিবের ওই টুর্নামেন্ট খেলার কোনও সুযোগ নেই।
গত ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আইপিএলের ১৪তম আসর। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার আগে শেষ হয়েছে ২৯ ম্যাচ। ৩০তম ম্যাচে এসে হানা দেয় করোনা, যে কারণে স্থগিত হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ। সে পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাই ২ পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে তারা।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থগিত হওয়া আইপিএলের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাকি ৩১ ম্যাচ শেষ করতে চায় বিসিসিআই। ১৫ অক্টেবর হবে প্রতিযোগিতার ফাইনাল। এই আসরে সাকিব খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। মোস্তাফিজুর রহমানের দল রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলে কলকাতার হয়ে সাকিবের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিব করেছেন ৩৮ রান, আর বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। অন্যদিকে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স ভালোই ছিল। ৭ ম্যাচ খেলে তার উইকেট সংখ্যা ৮টি।
বিএসডি/আইপি