প্রযুক্তি ডেস্ক,
বার্তা আদান-প্রদানের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো হোয়াটসঅ্যাপ। দারুণ দারুণ সব নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা। এই অ্যাপটি সিকিউরিটি এবং গোপনীয়তা রক্ষার একাধিক ফিচারের কারণেই এতো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
হোয়াটসঅ্যাপে সুরক্ষার জন্য রয়েছে ব্লক করার অপশন। অনেক সময় দেখা যায় অপরিচিত কেউ হোয়াটসঅ্যাপে আজে বাজে বার্তা পাঠাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে ব্লক করে রাখি যেন সে আপনার কোনো তথ্য আর দেখতে না পারে। আবার একইভাবে আপনাকেও অন্য কেউ ব্লক করে রাখতে পারেন।
তবে আপনাকে কেউ ব্লক করে রাখছে কিনা সেটা বুঝার কিছু উপায় রয়েছে। বুধবার (৪ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ বাংলা এইটিনের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১. কোনো নামের যদি ‘লাস্ট সিন’ অপশন না দেখা যায় তাহলে তিনি আপনাকে ব্লক করে থাকতে পারেন। তবে তার আগে নিজের সেটিংসে গিয়ে ‘লাস্ট সিন’ বন্ধ করা আছে কিনা সেটি আগে নিশ্চিত হতে হবে। আপনার হোয়াটসঅ্যাপের এই অপশন বন্ধ থাকলে কারও লাস্ট সিন দেখতে পাবেন না।
২. যাকে নিয়ে আপনার সন্দেহ হচ্ছে তাকে আপনি মেসেজ পাঠিয়ে দেখতে পারেন। যদি ডাবল টিক না হয় তবে হয়তো তিনি আপনাকে ব্লক করেছেন। যদিও এটি সম্পূর্ণ নিশ্চয়তার সঙ্গে বলা যায় না কারণ, সেই ব্যক্তি ইন্টারনেট কানেকশনের বাইরে থাকলে বা অ্যাপটি ব্যবহার বন্ধ করে দিলেও এই রকম হতে পারে।
৩. হঠাৎ করে যদি কারও প্রোফাইল ফটো দেখা না যায়, তাহলে বুঝবেন তিনি আপনাকে ব্লক করে থাকতে পারেন। তবে এমনও হতে পারে যে তিনি নিজের থেকে প্রোফাইল ফটো ডিলিট করে দিয়েছেন।
৪. আপনি চাইলে সেই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কল করে দেখতে পারেন। সেই ব্যাক্তি যদি আপনাকে ব্লক করে থাকে তাহলে আপনার কলটি কানেক্ট হবে না।
৫. আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন গ্রুপ খুলে সেই গ্রুপে সন্দেহজনক নম্বরটি যুক্ত করুন। সেই ব্যক্তি যদি আপনাকে ব্লক করে থাকেন তবে গ্রুপে তাকে যুক্ত করার সময় দেখাবে ‘you are not authorized to add this contact’। এর মানে ওই ব্যক্তি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করে রেখেছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে দোকানিদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পণ্য অর্ডারের সুযোগ চালু করেছে কোকা-কোলা। এর ফলে এখন থেকে দেশের খুচরা বিক্রেতা ও পণ্য বিতরণকারীরা এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের মাধ্যমে কোকা-কোলা অর্ডার করতে পারবেন।
দোকান মালিক ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে গৃহীত এই পদক্ষেপের অন্যতম উদ্দেশ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোর ব্যবসাকে চাঙ্গা রাখা এবং চরম এই সংকটকালে খাদ্য ও কোমল পানীয় ব্যবসার দ্রুত প্রসারে সহযোগিতা করা।
ব্যবসায়িক অংশীদারদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ব্যতিক্রমধর্মী এই ডিজিটাল সুল্যশন চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোকা-কোলা আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে খুচরা বিক্রেতারা খুব সহজেই বিতরণকারীদের কাছে পণ্যের অর্ডার দিতে পারবেন। এতে যোগাযোগ করা সহজ হওয়ায় তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি শারীরিক সংস্পর্শের ঝুঁকিও কমে যাবে। এছাড়া পণ্যের জন্য তাদের আর নির্দিষ্ট ডেলিভারি তারিখের অপেক্ষায় থাকারও প্রয়োজন পড়বে না।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বলছে, ছোট কিংবা বড় সব ধরনের ব্যবসার জন্যই ২০২০ সালটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বছরগুলোর একটি। মহামারিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিরূপণ এবং তা কাটিয়ে ওঠার উপায় খোঁজার কাজটি আমরা অব্যাহত রেখেছি। আর এক্ষেত্রে সারাদেশের ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোই আমাদের বাজার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ, যা আমাদের স্বতন্ত্র করে তুলেছে। আর অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আমাদের সাহায্য তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সে দোকান মালিকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোকা-কোলা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। চরম এই ক্রান্তিলগ্নে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কোকা-কোলা সেসব ছোট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে, যারা টিকে থাকার জন্য যুদ্ধ করার পাশাপাশি আবারও ভালো ব্যবসা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, শারীরিক সুরক্ষা বজায় রেখেই হাতের কাছের আউটলেট থেকে পণ্য কিনতে ভোক্তাদেরকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ব্যবসাকে পুনরায় চাঙ্গা করতে দোকান মালিকদেরকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নানা ডিজিটাল অপশনও দেওয়া হয়েছে যেন ক্রেতাদের পাশাপাশি তারা আমাদের সঙ্গেও সহজে যুক্ত থাকতে পারেন।
পরীক্ষামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অংশীদার ও ভোক্তাদের কাছে তাদের পছন্দের ব্র্যান্ডটির সঙ্গে নির্বিঘ্ন যোগাযোগ রক্ষায় সহযোগিতা করাই কোকা-কোলার লক্ষ্য।
বিএসডি/আইপি