আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে কবলিত রাষ্ট্র লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর রকেট হামলার জবাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে তথ্যটি জানানো হয়।
সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের যে এলাকা ও অবকাঠামোসমূহ থেকে সম্প্রতি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছিল, সে সব স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এছাড়া আগে রকেট হামলা চালানো হতো- দক্ষিণ লেবাননের এমন একটি লক্ষ্যেও আঘাত হানা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
লেবাননে হিজবুল্লাহর মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল আল-মানার তাদের খবরে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে লেবাননের মাহমুদিয়া শহরের প্রান্তীয় দুই এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো এবার আক্রমণ চালিয়েছে।
বুধবার লেবানন থেকে ছোড়া দুটি রকেট ইসরায়েলে গিয়ে পড়ার পর গোলাবর্ষণ করে তার জবাব দিয়েছিল দখলদার বাহিনী। যদিও এবার বিমান হামলাও চালিয়েছে তারা।
গেল বুধবার লেবাননের সীমান্ত এলাকার কাছে ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনো শহর সংলগ্ন এলাকায় রকেট হামলা ঘটে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে আছড়ে পড়ে এবং অন্য দুটি ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হানে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবারের হামলার দায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের যে এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল সেসব এলাকা ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে ওই রকেট হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে ২০০৬ সালে ইসরায়েলের এক যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সীমান্ত মোটামুটি শান্ত ছিল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। লেবাননভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর হাতে অত্যাধুনিক রকেট আছে।
যদিও অতীতে বিভিন্ন সময়ে লেবাননের হিজবুল্লাহর ফিলিস্তিনপন্থি একটি অংশ বিক্ষিপ্তভাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে। গত ২০ জুলাইও ইসরায়েলে দুটি রকেট নিক্ষেপ করেছিল হিজবুল্লাহ। তবে ওই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র : রয়টার্স
বিএসডি/এমএম