নিজস্ব প্রতিবেদক,
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে বাহাদুর আলম (৬৫) নামে এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, খোরশেদ আলম (৪০), জুনায়েদ সালেহ (২৬), আহামদুর রহমান রিপন (৩০), কাউসার (৩৪), আনচারুল আলম (২১), মিজানুর রহমান (২৭)।
বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দোহাজারী পৌরসভার চাগাচর ২নং ওয়ার্ডের আহমদুর রহমান চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার ফজর আলী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলশিক্ষক দোহাজারী জামিজুরী আহামদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক দোহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান মৃত আহামদুর রহমানের ছেলে এবং সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় মৌরশী সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষ খোরশেদুল আলমের সাথে কাউসারের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি কিলঘুষি মারতে থাকলে উভয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নিহত বাহাদুর আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন দোহাজারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ুন কবির ও চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দীন সরকার। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আকতারুল আলম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দৈনিক অধিকারকে বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারনামীয় ১নং আসামি সৈয়দ মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিএসডি/আইপি