নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারির সংক্রমণ তাণ্ডবের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সামাল দিতে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এই কার্যক্রম গতিশীল করতে সারাদেশে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন। সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড ও বিভিন্ন অঞ্চলভেদে আজ থেকে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন।
এরই অংশ হিসেবে শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার থেকে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। তাদের প্রত্যেকের জন্যই দ্বিতীয় ডোজের টিকাও সরবরাহ করে রাখা হবে। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রেখে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (৬ আগস্ট) ক্যাম্পেইনের বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, ১৮ বছর বয়সীদের অনেকের আইডি কার্ড নেই। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। তাই বয়স ১৮ না করে ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা যেখানে কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন সেখানে টিকা নেবে। ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, যে কোনো ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে প্রদানে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না। আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশে টিকার ঘাটতি থাকলেও সবাইকে টিকা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৯ হাজারে অধিক মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে- ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা মূলত নিম্নোক্ত জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে যাচ্ছি। এরমধ্যে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী রয়েছেন।
বিএসডি/এমএম