নিজস্ব প্রতিবেদক,
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই সহযোগী হাজেরা খাতুন ওরফে অনি এবং সানাউল্লাহ নূরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।
হাজেরা খাতুনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফিরোজুর রহমান মন্টু এবং সানাউল্লাহ নূরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আমানুল করিম লিটন জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, চার মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ এ দুই আসামি ও অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও জয়যাত্রা টিভি চালাতেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ করে মোটা অঙ্কের টাকা জামানত হিসেবে নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করে র্যাব। অভিযানকালে ওই বাসা থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ১টি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, ১টি হরিণের চামড়া, ২টি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, ২টি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জামাদি- ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়। ওই রাতেই মিরপুরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা টেলিভিশনের কার্যালয়েও অভিযান চালানো হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা ও অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের পোস্টার ভাইরাল হলে আলোচনায় উঠে আসেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। এর পরেই আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর।
বিএসডি/আইপি