আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসীদের হামলায় দেশটির সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ১২ সদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া হামলার পর থেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ জন।
তিনটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সোমবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার (৮ আগস্ট) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে। অবশ্য হামলার বিষয়ে বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
দেশটির নিরাপত্তা সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশ মালির সঙ্গে সীমান্তবর্তী বৌকলে দ্যু মউহউন অঞ্চলের টোয়েনি এলাকায় রবিবার হামলার ঘটনাটি ঘটে। অবশ্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কিংবা সংগঠন এখনো পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বুরকিনা ফাসোর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গেল শনিবার ওই একই এলাকাতে দুইজন শীর্ষস্থানীয় জিহাদিকে হত্যা করে সামরিক বাহিনী স্পেশাল ইউনিটের সদস্যরা।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে অসংখ্য সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন। এসব হামলা ও সহিংসতায় প্রাণ দিয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক।
আরও পড়ুন – ১৫ দিনে দেশে আসছে ৫৪ লাখ টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এর আগে গেল বুধবার বুরকিনা ফাসোয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় কমপক্ষে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার গ্রামগুলোতে টানা বেশ কয়েকটি সিরিজ হামলায় হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটে।
ভয়ঙ্কর সেই আক্রমণে নিহতদের মধ্যে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক, ১৫ জন সরকারি সেনা কর্মকর্তা এবং সরকার সমর্থিত বেসামরিক মিলিশিয়া বাহিনীর ৪ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা হামলায় ১০ হামলাকারীও সে সময় প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন- ১৫ দিনে দেশে আসছে ৫৪ লাখ টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ভয়াবহ সেই সংঘর্ষের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছাড়াও বেশকিছু গবাদিপশু চুরি ও গ্রামবাসীদের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বিএসডি/এমএম