পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলিপুরা ইউনিয়নের এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পরিক্ষার এসাইন্টমেন্ট জমা দেয়ার সাথে অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
২০২০- ২০২১ শিক্ষা বছরের এসএসএসি শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারী আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলমান করোনার মাহামারীর সময়ে এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল , সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস চলতি বছরের পরিক্ষার এসাইন্টমেন্ট জমার নেয়ার সাথে অর্থ দিতে বাধ্য করছেন।
তারা আরো জানান, কম্পিউটার কম্পোজ, অফিস খরচ এবং শিক্ষকদের বেতন হিসেবে প্রতি সাবজেক্টে ৪’শত টাকা নিচ্ছে। যা বর্তমান করোনাকালীন সময়ে অভিভাবকদের প্রতি জুলুম এবং অবিচার করা হচ্ছে ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সহিদুল ইসলাম এর কাছে এসাইন্টমেন্ট এর সাথে অর্থ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি ধামাচাপা এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
এদিকে এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর আপন ভাই এবং এ্যডহক কমিটির সভাপতি মোঃ সাঈফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে প্রথমে কিছুই জানেন না বললেও পরে তিনি শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা স্বাীকার করলেও, তিনি তা করেননি। পূনরায় বড় ভাই সভাপতি হওয়ায়, প্রভাব খাটিয়ে সরকারের আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পূজি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম মিয়া এবং গলাচিপা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা বলেন, পরিক্ষার এ্যইন্টমেন্ট জমা নেয়ার সাথে টাকা না নেয়ার বিষয়ে সরকারি কঠোর বিধিনিশেধ রয়েছ। অভিযোগ পেলে ঐ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন মুঠোফোনে জানান এ্যসাইন্টমেন্ট জমা নেয়ার সাথে কোন টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইসরাত জাহান মুঠোফোনে বর্তমান সময় কে বলেন , শিক্ষা ব্যাবস্থাকে আধুনিক এবং সঠিক ভাবে পরিচালোনা করতে সরকার নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া এ্যাসাইন্টমেন্ট জমা নেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে সতর্কীকরণ করা হয়েছে। যদি কোন অভিযোগ আসে নিশ্চই ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিএসডি/জিল্লুর/এমএম