নিজস্ব প্রতিবেদক
এক সময়ের বড় রাজনৈতিক দল হলেও বর্তমানে ছোট একটা সংগঠনের মতো আচরণ করছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্তহীনতা, পরনির্ভরতায় স্বকীয়তা হারানো ও ভঙ্গুর সাংগঠনিক অবস্থার জন্য দলটি রাজনীতিতে বিশেষ কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর ফলে দলটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং ও ফেসবুক মিটিংয়ে বিরক্ত হচ্ছে তৃণমূল নেতাকর্মী ও দেশবাসী।
বিএনপির চলমান রাজনৈতিক ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের একজন সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে পা দিলেও দলটির রাজনৈতিক পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন দেখছি না। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে দলটির নেতাদের মধ্যে কোনো প্রয়াসই আমার চোখে পড়েনি। বরং নির্বুদ্ধিতা ও রাজনৈতিক সঠিক জ্ঞানের অভাবে দলটির অস্তিত্ব ক্ষয়িষ্ণু প্রায়। একটা দল এভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললে সেটি বেশিদূর পৌঁছাতে পারে না- এটা সহজ ও সত্য কথা।
তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে- ভয়, হতাশা ও অনিশ্চয়তা যখন সংগঠনের উপর ভর করে বসে তখন কর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। নেতাকর্মীদের স্বভাবজাত দলাদলি, সংকীর্ণতা, বাগাড়ম্বর, দখলদারির মনোবৃত্তি, হিংসা-প্রতিহিংসা, মারামারি-কাটাকাটি; এসবের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কারণে বিএনপি আজ রাজপথে এতিম হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির সিনিয়র দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, বিএনপির আজকের দুর্দশার জন্য ক্ষমতাসীন দল দায়ী নয়। পরনির্ভরশীলতা, প্রলোভনে পড়ে বিএনপি নিজের ক্ষতিসাধন করেছে। দলের নেতারা নিজেদের ক্ষতি করার জন্য বন্ধুরূপী শত্রুদের দাওয়াত দিয়েছেন। বিএনপির এখন যে হাল, তার শর্তগুলো তারা নিজেরাই তৈরি করেছিলেন। প্রতিপক্ষ তার সুযোগ নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে সংস্কার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। অথর্ব, অযোগ্য ও রাশভারী নেতাদের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। তবেই বিএনপি নিশ্চিত লক্ষ্যে যাত্রা করতে পারবে।
বিএসডি/এমএম