আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্রুপের প্রধান জে ইয়ং লি। ঘুষ ও দুর্নীতির কেলেঙ্কারির দায়ে কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে। ‘জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে’ তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাজা হওয়ার পর ২শ সাতদিন কারাগারে ছিলেন দ. কোরিয়ার অন্যতম এই ধনী ব্যক্তি। এর আগে বিচার বিভাগীয় মন্ত্রণালয় তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষেপে কথা বলেছিলেন জে ইয়ং লি। তিনি দাবি করেন, আমি গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী, আমি এখন কেবল দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য ভাবছি। আমি মানুষের উদ্বেগ, সমালোচনা, প্রত্যাশা ও সতর্কতার কথা জেনেছি। কথা দিচ্ছি, আগামীতে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করব।
স্যামসাং ও লির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল- সরকারি সুবিধা পেতে তৎকালীন তারা প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইর বন্ধু চোই সুন শিল পরিচালিত সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে ৪৩ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। এরপর বিষয়টির জন্য পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে ভোটও পড়েছিল। যদিও লি এবং স্যামসাং গ্রুপ এই অপরাধের কথা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিল।
যার প্রেক্ষিতে ৫৩ বছর বয়সী লিকে চলতি বছরের জুলাই মাসে আড়াই বছরের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
যদিও তাকে মুক্তি প্রদানের সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, স্যামসাং প্রধান হিসেবে দেশের স্বার্থে কাজ করবেন লি, সকলের এমনটাই প্রত্যাশা। যদিও দেশের বাইরে ভ্রমণে গেলে তাকে অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আর তিনি যদি ফের একই ভুল করেন তাহলে পুনরায় লিকে জেলে যেতে হবে।
স্যামসাং প্রধান লিকে দ্রুত মুক্তি প্রদানের কারণ হিসেবে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্বের ১২তম এই ধনী দেশটির ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা করোনা মহামারির সময়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্যামসাং গ্রুপের মধ্যে যে নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তহীনতার সংকট দেখা দিয়েছে; মূলত তা থেকে উত্তরণের জন্যই লিকে মুক্তি দেওয়া হলো।
বিএসডি/এমএম