নিজস্ব প্রতিবেদক,
নগরে এখনো ডেঙ্গু তেমন তীব্র আকার ধারণ করেনি মন্তব্য করে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, তবুও আমরা আগেভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে না বাড়ে সেই ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমে পড়লাম।
৪১টি ওয়ার্ডে আমাদের ১৫শ’ আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ডেঙ্গু মোকাবেলায় ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইনে নগরবাসীকে সচেতন করতে কার্যক্রম চালাবে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ১১ নম্বর সড়কের নালা-নর্দমায় নতুন মশার ওষুধ ‘মসকুবা’ ছিটিয়ে মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। এ সময় ময়লা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহারের জন্য ওয়ার্ল্ডভিশনের ৬টি থ্রি হুইল ভ্যান মেয়রের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মেয়র বলেন, আমি জনগণের সেবক। নগবাসীর মতামতের ভিত্তিতে আমি নগর কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। এ জন্য নগরবাসীর সহায়তা প্রয়োজন। এখন আমরা তিনটি সমস্যা নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করছি। সমস্যাগুলো হলো করোনা মহামারি, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ। তিনটি সমস্যাই জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি।
তিনি বলেন, মশক নিধন ও ক্যাম্পেইনের সার্বিক কার্যক্রম তদারকির জন্য চসিকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির তিন সদস্য হলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
আমরা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কীটতত্ত্ববিদ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও যাচাই-বাচাই করে নতুন মশার ওষুধ কিনেছি। এখন নগরবাসীকেও চসিকের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, ডাবের খোসা, ব্যাটারি সেল, নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি ৩ দিন পর পর ফেলে দিতে হবে। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি পরিষ্কার করতে হবে। অব্যবহৃত পাত্র উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে। এ নির্দেশনা পালনে কোনো অবহেলা করলে চসিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বাড়ি বা আবাসিক গৃহের মালিককে জরিমানা করবে।
কাউন্সিলর মো. এসরারুল হকের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, আশরাফুল আলম, কাজী নুরুল আমীন মামুন, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, জোন প্রধান আফিয়া আক্তার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা ফজলুল কাদের, উপ প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, চাঁদগাও বি-ব্লক আবাসিক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসমাইল, এ-ব্লক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মনসুর, ইপসার পক্ষে সানজিদা আকতার, ওয়াল্ডভিশনের রবার্ট কমল সরকার প্রমুখ।
বিএসডি/আইপি