পর্যটন ডেস্ক,
স্বস্তি কোথায়? গরমে অতিষ্ঠ শহুরে জীবন। তবে ঢাকার কাছে বেশ কয়েকটি জায়গা আছে, যেখানে গরমও তুচ্ছ! তেমন এক জায়যগার নাম ‘মায়াদ্বীপ’। ঠিক দ্বীপ নয়, এটি মেঘনা নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা চর। যেখানে এলেই জুড়িয়ে যাবে মন-প্রাণ।
দ্বীপটা ছোট, তবে এর চারপাশ সবুজ আর সবুজ। সূর্যের তীব্রতা যতোই থাকুক, সবসময় বহে সু-শীতল বাতাস। এ যেনো একটি সবুজ প্রান্তরের গ্রাম। মেঘনার বুকে বালুকাময় অনিন্দ্য সুন্দর রূপের এই দ্বীপটি একেক ঋতুকে একেক সৌন্দর্যের পসরা নিয়ে হাজির হয়। বর্ষায় বিশাল জলরাশি যেন মেঘনার রূপকে সাগরের আকার ধরা দেয়, এসময় নৌকা নিয়ে হারাতে মন চায় বিশাল জলরাশিতে। আবার শরতে সারি সারি কাশবনের সমাহার, কিংবা শীতে মিষ্টি রোদে বালুকাময় তটভূমির ওপর দিয়ে সকাল কিংবা অস্তগামী সূর্যের মুগ্ধকার আলো। আর গ্রীষ্মের ধু-ধু বালি যেন অন্যরূপে ধরা দেয় এ চরে। জ্যোৎস্না রাতে, ভরা চাঁদের হাসিতে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে অসীমের মাঝে। এ দ্বীপ চমৎকার একটি স্থান ঘুরে বেড়ানোর জন্য।
দ্বীপটি নারায়ানগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের অন্তর্গত, যার আসল নাম নুনেরটেক। এটি মেঘনা নদী দ্বারা সোনারগাঁয়ের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। নদীপথে সোনারগাঁ থেকে দূরত্ব প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার। আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে মেঘনার বুক চিরে জেগে ওঠে এটি। সাগরের পানি নোনতা কিন্তু মেঘনার পানি মিঠা হওয়া সত্ত্বেও নুনেরটেকের নামকরণ ছিল সত্যি অভিনব। সেই নুনেরটেকের কোল ঘেঁষেই প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে জেগে ওঠে আরো একটি চর, যার তিনটি অংশ রয়েছে এবং তিনটি অংশের তিনটি নাম হল গুচ্ছগ্রাম, সবুজবাগ আর রঘুনার চর।
যেভাবে যাবেন-
রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক মিনিট পরপর বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায়। বাসে গিয়ে সোজা নামতে হবে সোনারগাঁওয়ে। তারপর সেখান থেকে ইজি বাইকে বৈদ্যের বাজার নেমে নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে। সময় লাগবে ৪০ মিনিটের মত। সারাদিনের জন্য নৌকা ভাড়া পড়বে ১০০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।
বিএসডি/আইপি