আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তানে কখনোই জাতি গঠনের কথা ছিল না বলে সাফ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আফগান ভূখণ্ডে মার্কিন সেনাবাহিনীর মিশন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে আমাদের মিশন নিয়ে অনেকেই ভুল ধারণা পোষণ করছেন। যা বিগত দুই দশক যাবত চলমান রয়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আফগানিস্তানে কোনোদিন জাতি গঠনের উদ্দেশ্য ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রটিতে আমাদের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ আজও রয়ে গেছে, যা সব সময়ই ছিল। সেটা হচ্ছে আমেরিকায় সন্ত্রাসীদের আক্রমণ রোধ করা।
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা দল পরিস্থিতি সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছে।
ভাষণে জো বাইডেন বলেছিলেন, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা কীভাবে সেখানে গিয়েছি, আর আফগানিস্তানে আমেরিকার স্বার্থটাই বা-কী। যে দুই দশক আগে আফগানিস্তানে আমাদের মিশন শুরু হয়েছিল, সেটা কখনোই জাতি গঠনের জন্য ছিল না। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়দার ঘাঁটি থেকে আমাদের ওপর বারংবার হামলা করা হয়েছিল। এরপর আমরা আল-কায়েদা এবং আফগান সন্ত্রাসীদের মারাত্মকভাবে হেয় করেছি।
বাইডেন যোগ করেন- আমরা কখনো ওসামা বিন লাদেনের খোঁজ ছাড়িনি। তাই কিছুটা বিলম্বে হলেও শেষমেশ আমরা তাকে পেয়েছি। হোক সেটা এক দশক আগের কথা।
২০০১ সালে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল-কায়দা নেটওয়ার্কের সশস্ত্র সদস্যরা নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে বিমান দিয়ে হামলা চালায়। মূলত এরপর তাদের দমনের নামে আফগানিস্তানে ভয়াবহ অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র ন্যাটোর সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, রক্তক্ষয়ী সেই অভিযানের প্রায় ২০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর চলতি বছর এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেনের এই ঘোষণা দেওয়ার মাস খানেকের মধ্যে মে থেকে আফগানিস্তান দখলে অভিযানে নামে তালেবান যোদ্ধারা। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুতগতিতে দেশের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২৮টির দখল নিতে সক্ষম হয় তারা। গত রবিবার দেশটির রাজধানী কাবুলেরও দখল নিয়েছে তালেবানের সশস্ত্র যোদ্ধারা।
বিএসডি/এমএম