নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ হলেও মুক্তির সংগ্রাম কিন্তু এখনো চলছে। সুযোগ পেলেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির কুশলিবরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠবে।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হঠাৎ করে একটি আকস্মিক কর্মসূচি দিলেন। তাদের হঠাৎ এ কর্মসূচির খবর শুনে বুঝতে পারলাম ডাল মে কুচ কালা হে। আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের কথা শুনেই পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি। তারা জানান দিয়েছে মাঠে আছে। আসলে শোকের মাস আগস্ট বড় ধরনের নতুন চক্রান্ত করতেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। তারই অংশ হিসেবে প্রশাসনের ২৭ কর্মকর্তার ওপর হামলা ও বহু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে নানক বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যদি মোতায়েন করা হতো, তাহলে চন্দ্রিমা উদ্যানে তারা কর্মসূচি পালন করা তো দূরের কথা রাজধানীতে দাঁড়াতেই পারতো না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে তারা তেজগাঁওয়ে ডিসি-এডিসির ওপর হামলা চালাতে পারতো না। এতগুলো গাড়ি ভাঙচুর করতে পারতো না। তারা এ হামলার মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন? নিজেদের অবস্থা জানান দিতে চান? কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে এটা বঙ্গবন্ধুর দেশ। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তাদের এ ধরনের চক্রান্ত কখনোই সফল হবে না।
তিনি বলেন, এদেশে মৌলবাদীরা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ হলেও মুক্তির সংগ্রাম কিন্তু এখনো চলছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখনই এদেশের মুক্তির সংগ্রামের দ্বারপ্রান্তে এসেছে দেশ, ঠিক তখনই ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। যার মূল হোতা ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করা ওই জিয়াউর রহমান। ওই জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি করা দল বিএনপির মধ্যে আবার ওই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীর হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যদি আবার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তাহলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এর সমুচিত জবাব দিবে।
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজার আনামের সভাপতিত্বে ও দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান হ্যাপির সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিমসহ মিরপুরের স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।