নিজস্ব প্রতিবেদক,
কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার এক সেলুনে দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে পা ও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর ওই যুবকের রক্তাক্ত লাশ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সেলুনের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দেলোয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের জাহের আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ভাঙ্গাড়ি (পরিত্যক্ত লোহালক্কড় বা স্ক্র্যাপ) ব্যবাসায়ী ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, ময়নামতি ফরিজপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ২ সন্তান নিয়ে তারা বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় আনুমানিক ১১টার দিকে স্ত্রী তাকে কল দিলে দেলোয়ার জানায়, সে লক্ষণের সেলুন দোকানে আছে। একটু পর বাসায় ফিরবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, দেলোয়ারকে গলা ও পা কেটে হত্যার পর বস্তার ভেতর লাশ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দোকানের মালিক লক্ষণের সঙ্গে নিহত দোলোয়ারের টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে ঘটনার পর থেকে লক্ষণ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিএসডি/আইপি