নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতক্ষীরায় বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু গাড়িবহরে হামলার অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন বলে ডিবি’র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বিষয়টি জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান, গোপন সংবাদে রঞ্জুকে শুক্রবার (২০ আগস্ট) হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রঞ্জু ১৯৯৩ সালে কলারোয়া সরকারি সরকারি কলেজে পড়াশোনা করাকালীন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলার অন্যতম নেতৃত্বে তিনি ছিলেন। পরে অর্ধশতাধিক হামলাকারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে রঞ্জুর ১০ বছরের সাজা হয়। তবে ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপন ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান। হাসপাতাল থেকে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়ি বহরে থাকা ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, রঞ্জুর পুরো পরিবারই স্বাধীনতাবিরোধী। তার তার বাবা মৃত লুৎফর রহমান ও দাদা মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেন। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে। একইসঙ্গে হামলাটি জঘন্য ও নাক্কারজনক। এ ধরনের হামলার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দারা সদা তৎপর আছে।
বিএসডি/এমএম