লাইফস্টাইল ডেস্ক,
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্কের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আমরা এখন মাস্কে অনেকটা অভ্যস্তও হতে শুরু করেছি। কিন্তু আমাদের মাস্কটি আসলেই কার্যকরী তো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে এমন অনেক মাস্ক বিক্রি হচ্ছে যেগুলো মোটেও কার্যকরী নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এর আগে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দুই বা তিন স্তরের মাস্ক পরার। মাস্কের মাধ্যমে নাক-মুখ সঠিকভাবে ঢেকে রাখতে পারলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়। তবে মাস্কটি যেন কার্যকরী হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এখন খেয়াল করুন, করোনা ঠেকাতে যে মাস্কটি ব্যবহার করছেন, সেটি আপনাকে সুরক্ষা দিচ্ছে তো?
আপনার মাস্কটি সুরক্ষিত কি না তা বুঝে নেওয়ার আছে কিছু উপায়। বাজারে নানা রং ও নানা ঢঙেও মাস্কের ভিড়ে কার্যকরী মাস্কটি খুঁজে নিন। মাস্ক যদি আপনাকে সুরক্ষিত না রাখতে পারে তবে সেটি ব্যবহার করা অর্থহীন। জেনে নিন কার্যকরী মাস্ক চেনার উপায়-
মাস্ক কার্যকরী কি না তা বোঝার জন্য পরীক্ষা করতে পারবেন আলোর মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের ‘ভ্যাকসিন রিসার্চ গ্রুপ’ এর পরিচালক ডা. গ্রেগরি পোল্যান্ড এক সাক্ষাত্কারে বলেন, একটি মাস্ক আলোর সামনে ধরলে সেটি কতটুকু ভাইরাস আটকাতে সক্ষম তা বোঝা সম্ভব হতে পারে। আলোর উত্স হতে পারে মোমবাতি, টর্চ লাইট, সূর্যের আলো ইত্যাদি। আলোর সামনে ধরলে যদি মাস্কের দুইপাশ পরিষ্কার বা আবছাও দেখা যায়; তাহলে বুঝে নেবেন মাস্কটি মোটেও কার্যকরী নয়।
মাস্ক পরীক্ষা করা যেতে পারে বাতাসের মাধ্যমেও। এজন্য দরকার একটি জ্বলন্ত মোমবাতি ও মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষক বিল নায় এই পরীক্ষাটি জনপ্রিয় করে তুলেছেন। আপনি মুখে মাস্ক পরে জ্বলন্ত মোমবাতিতে ফুঁ দিন। যদি মোমবাতিটি নিভে যায় তাহলে বুঝে নেবেন মাস্কটি নিরাপদ নয়।
করণাভাইরাস বাতাসে মিশে থাকতে পারে। তাই এটি তরল-কণার মাধ্যমে সংক্রমিত করতে পারে। মাস্কটি ভাইরাস আটকাতে পারবে কি না তা বোঝার জন্য পানির মাধ্যমেও পরীক্ষা করতে পারবেন। মাস্ক যদি পানি শোষণ করে তবে সেটি মানুষের মুখ-নিশ্রিত লালাকণাও শোষণ করতে পারবে। ফলে মাস্কের মাধ্যমেও হতে পারে সংক্রমণ।