নিজস্ব প্রতিবেদক,
আজ ১০ মহররম। এই দিনটি আশুরা নামে পরিচিত। ইতিহাসের অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এই দিনে। আসমান জমিন সৃষ্টি হয়েছে। হজরত আদম (আ.) এর সৃষ্টি ও পৃথিবীতে প্রেরণ এবং তার তওবা কবুল হয়েছে। এমনকি পৃথিবীতে রহমতের বৃষ্টি প্রথমবারের মতো নেমেছিল এই দিনে।
হজরত নূহ (আ.) এর জাহাজ জুদি পাহাড়ে অবতরণ করে এই দিনে। ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে বনি ইসরাইল আজকের এই দিনে। এই দিনে হজরত ইউনুস মাছের পেট থেকে নাজাত লাভ করেন। এই দিনে ইব্রাহিম (আ.) আগুন থেকে মুক্তিলাভ করেন।
এইদিনে হজরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন। ইহুদীরা তাদের এই দিনটিকে জাতীয় মুক্তি দিবস হিসাবে পালন করতো। আরবি ‘শাহরুন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে মাস, আর ‘মুহাররম’ শব্দের অর্থ সম্মানিত। সুতরাং ‘শাহরুল মুহাররম’ এর যৌগিক অর্থ হলো সম্মানিত মাস।
আরবি ‘মুহাররম’ থেকেই ‘মহররম’ শব্দটি বাংলা সাহিত্যে ও বাংলাভাষী মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হয়। সে যাই হোক, মহররম হলো হিজরি সনের প্রথম মাস। যা আল্লাহ তায়ালার নিকট সম্মানিত চার মাসের এক মাস।
এ মাসের দশ তারিখকে বলা হয় ‘আশুরা।’ কারণ, আরবি ‘আশারা’ থেকে এর উৎকলণ। যার অর্থ হচ্ছে দশ। তাই এ মাসের দশ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলে অবহিত করা হয়। আদিকাল থেকেই যুগে যুগে আশুরার এই দিবসে বহু স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরীফ থেকে জানতে পাই।
হাদিসে এসেছে আল্লাহ রাববুল আলামিন যেদিন আকাশ, বাতাস, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, জান্নাত-জাহান্নাম, লাউহু মাহফুজ ও যাবতীয় সৃষ্টি জীবের আত্মা সৃজন করেছেন, সে দিনটি ছিলো ১০ মুহাররম তথা পবিত্র আশুরার দিবস। আবার এ দিনেরই কোনো এক জুমা বারে হজরত ইস্রাফিল (আ.) এর ফুঁৎকারে নেমে আসবে মহাপ্রলয়।
বিএসডি/আইপি