আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র জনগণের ওপর ফের বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করেছে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। যাদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনই ছিল শিশু।
হামলায় আহতদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুর মাথায় গুলি লেগেছে, বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এরই মধ্যে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার কাছে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫২ বছর আগে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে আগুন লাগানোর প্রতিবাদে গাজায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাকে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। শনিবার (২১ আগস্ট) তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে শত শত নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি মালাক্কা শরণার্থী ক্যাম্পের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে সীমান্ত দেয়ালের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করলে তাদের ওপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। এতে ১০ শিশুসহ অন্তত ২৬ জন গুরুতর রকমের আহত হন। এদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, শনিবার সীমান্ত দেয়ালের কাছে কয়েকশ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। মূলত তাদের শান্তিপূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ করতেই এই দাঙ্গা দমন সরঞ্জাম, অর্থাৎ প্রয়োজনে ০.২২ ক্যালিবার গুলি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গেল কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ইসরায়েল-হামাস সমঝোতায় পৌঁছানোর ঠিক তিন মাসের মাথায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটল। চলতি বছরের মে মাসে টানা ১১ দিনের সেই যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত বিমান হামলা চালায় দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। ভয়াবহ সেই সংঘাতে ৬৭ শিশুসহ প্রাণ হারায় অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি।
জবাবে ইসরায়েলের দিকে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করে হামাসসহ ফিলিস্তিনের একাধিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী। এতে এক শিশুসহ মৃত্যু হয় অন্তত ১৩ জনের।
বিএসডি/এমএম