ফুটবল–আকাশের এতগুলো তারাকে কী করে বৈধভাবে দলে টানা যায়, এক দল কী করে বৈধভাবে এতগুলো বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের বেতন দিতে পারে, সন্দেহ ছিলই। এবার সেই সন্দেহবাদীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের সভাপতি হারবার্ট হাইনার।
জার্মান সংবাদমাধ্যম স্পোর্টসবিল্ডের বায়ার্ন ইনসাইডার পডকাস্টে সেদিন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী হাইনার। সেখানেই বলেছেন এসব, ‘পিএসজি কীভাবে আর্থিক সংগতি নীতি মেনে এতগুলো বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের বেতন দিতে পারছে, আমি এখনো চেষ্টা করছি ব্যাপারটা বোঝার। পিএসজি নিজেদের দলের মান বাড়াচ্ছে, কিন্তু আমরা পর্যবেক্ষণ করছি তারা উয়েফার নিয়ম মানছে কি না। আমরা উয়েফার নিয়ম মানি। আমরা আশা করি বাকি সব ক্লাবও মানবে।’
পিএসজির বেতন বিল দেখে চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে বায়ার্ন সভাপতির, ‘আমি পিএসজিকে এখনই দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু তারা অতিরিক্ত খরচ করে খেলোয়াড় কিনছে। খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে খরচ না হলেও বেতনের বিল অনেক বেশি হওয়ার কথা তাদের। আমি যখন শুনি মেসির নিট আয় চার কোটি ইউরো, তার মানে করসহ ওর জন্য খরচ হয় আট কোটি ইউরো। এ ছাড়া হাকিমি, রামোস, দোন্নারুম্মার মতো খেলোয়াড়েরাও আছে। সব মিলিয়ে বেতনের খরচ প্রচুর হওয়ার কথা।’
ওদিকে মেসিকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সংবাদ সম্মেলনেই পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফি বলেন, ‘আমরা আর্থিক সংগতি নীতির নিয়ম জানি এবং সেই নিয়ম মেনেই চলে থাকি। কিছু করার আগে আমরা নিজেদের বাণিজ্যিক, আর্থিক ও আইন বিভাগের সঙ্গে কথা বলি। মেসিকে সই করানোর মতো সামর্থ্য আমাদের আছে। আমরা তা পারি বলেই মেসিকে সই করিয়েছি। তা না হলে সই করানো হতো না।’
কিছুদিন আগেই হাইনারের মতো প্রশ্ন তুলেছিলেন লিলের পর্তুগিজ ডিফেন্ডার জোসে ফন্ত। প্রশ্ন তুলেছিলেন, আর্থিক নিয়ম মেনে পিএসজি কীভাবে করছে এই দলবদলগুলো। টকস্পোর্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কোনো ভণিতা না করেই বলেছেন, ‘ফ্রান্সের আর্থিক সংগতি নীতি আমি বুঝতে চাইছি। প্রতিটি ক্লাব তাদের ব্যয় কমাচ্ছে। তারা খুব বেশি কিনতে পারছে না, বেশি বেতনের খেলোয়াড় নিতে পারছে না, কিন্তু পিএসজি ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেখে মনে হচ্ছে, কোনো আইন নেই।’খেলাইফি যতই নিজেদের নির্দোষ দাবি করুন না কেন, এমন প্রশ্ন উঠবেই!
বিএসডি/এএ