রকমারি ডেস্ক,
কাজটি করেছেন, গবেষক মাইকেল পিয়ার্স এবং প্রোফেসর আদ্রিয়ান রাফটেরি। এঁরা ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের গবেষক। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ২০২০ থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত বাড়তে থাকবে মানুষের বেঁচে থাকার সময়। ১২২ বছর বাঁচার কালমেটের রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার ১০০ % সম্ভাবনা। ১২৪ বছরের আয়ু পেরনোর সম্ভাবনা ৯৯ %। ১২৭ বছরের আয়ু পেরতে পারে ৬৮ %। আর ১৩০ বছরের আয়ু বা আয়ুর আইফেল টাওয়ার স্পর্শ করার সম্ভাবনা থাকছে ১৩ শতাংশ। আরেকটি গবেষণায় উঠে এসেছে মানসিক চাপ, প্রবল ব্যায়াম, অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো বিষয়গুলি কীভাবে বয়সকালের উপর প্রভাব বিস্তার করে। সিঙ্গাপুর নির্ভর বায়োটেক সংস্থা গেরো এই গবেষণাটি করেছে। টিম পিরকভ কাজটির নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি জানান, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়, এই লড়াইয়ের ক্ষমতা কত দিন থাকছে, তার উপরেই নির্ভর করছে আয়ু। ‘১০০ বছর বেঁচে আছেন, এমন মানুষজনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু বয়স ১১০ পেরিয়ে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন, ১১০ পেরনোদের সংখ্যাটা তলানিতে ঠেকছে। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের গবেষকরা যে পদ্ধতির উপর নির্ভর করে ২১০০ সালের আয়ুর হিসেব করেছেন, তা হল বেসিয়ান পরিসংখ্যান, যা একটি সম্ভাবনার তত্ত্ব।অষ্টাদশ শতাব্দীর অঙ্কবিদ থমাস বেসিয়ানের তত্ত্ব এটি। বেসিয়ান গুরুত্বহীন তথ্যকে কী ভাবে পরিসংখ্যান পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়, তা-ই দেখান।১১০ বছর বয়স পেরোনোর পর ১১৪ বছরে কত জন পৌঁছতে পারেন, কিংবা ১২৭ বছর থেকে ১৩৫ বছরে কত জন পা রাখতে পারেন, এ ব্যাপারে গবেষণায় আলো ফেলা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ১১০ থেকে ১২০ বছর পর্যন্ত বাঁচেন ১০ লাখের মধ্যে এক জন। ৩ কোটি ২০ লক্ষের একজন ১৩৫ বছর বাঁচতে পারেন। কিন্তু ১১০ বছরে পৌঁছতে পারেন এমন মানুষের সংখ্যাটা এর চেয়ে অনেক কম। স্বাভাবিক ভাবেই ১৩৫ বছরে পৌঁছানো মানুষজনের সংখ্যাটা আরও কম হবে বৈকি।গেরো-র গবেষণা থেকে ১৫০ বছর বাঁচার যে অনুমান বেরিয়ে এসেছে, তার পিছনে রয়েছে বড় অসুখ না থাকার মতো বিষয়। স্বাভাবিক ভাবেই কোনও বড় রোগ না থাকা বা নীরোগ মানুষ বেশি দিন বাঁচবেন। সবই নির্ভর করছে প্রতিরোধশক্তির উপর। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কমবেই। একটা সময় গিয়ে শূন্য হয়ে যাবে, এবং মৃত্যু ডেকে আনবে। তবে সব শেষে একটাই কথা বলবো কতদিন বাঁচলেন সেই ভেবে চুল না ছিঁড়ে , কীভাবে জীবনটাকে উপভোগ করা যায় বরং সেটাই ভাবুন।