রকমারি ডেস্ক,
দাড়ি বা গোঁফ হলো পুরুষের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সেই দাড়ি বা গোঁফ যদি কোনো নারীর মুখে দেখা দেয়, তাও পুরো মাত্রায়- তাহলে কেমন অদ্ভুতুড়ে ব্যাপারটা! এমনই এক পরিস্থিতির শিকার হন ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর ৩৫ বছরের যুবতী নেলি জ্যাঁ রবিনসন। তিনি একজন ব্যাংককর্মী। হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় তার মুখভর্তি দাড়ি আর গোঁফ। সেগুলো এতটাই গাঢ় যে, তা নিয়ে তাকে মানুষের মধ্যে বের হতে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তাই প্রতিদিন তিনি দাড়ি, গোঁফ শেভ করেন। দাড়ি বা গোঁফের গোড়া যাতে দেখা না যায়, তার জন্য মুখে মেকআপ ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে তার মুখে দাড়ির গোড়াগুলো ফুলে গিয়ে বাজেরকম দাগ সৃষ্টি করে।
এ জন্য এখন তিনি শেভ করা বাদ দিয়েছেন। মন স্থির করেছেন, যে যা-ই বলুক, আর শেভ করবেন না। এ খবর দিয়েছে একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা।
নেলি জ্যাঁ রবিনসনের এই সমস্যা ধরা পড়ে বয়স ২০ এর কোটা পূরণ হওয়ার পর। এ সময় দেখা দেয় ‘হেয়ারসুটিজম’ নামে হরমোনোর ভারসাম্যহীনতা। এর ফলে তার শরীরের সর্বত্র কালো চুলে ভরে যায়। শুধু তার মুখেই নয়, সারা শরীরে এমন চুল। বুকভরা চুল। এ ছাড়া তার আছে পলিসিসটিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)। এর ফলেও মুখে চুল গজাতে পারে। এসব চুল প্রতিদিন শেভ করতে করতে এখন তিনি ক্লান্ত। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর না। আর শেভ করবেন না। মুখে দাড়ি নিয়েই তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন। নিজেকে সৃষ্টিকর্তা যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, তাকে ভালবাসবেন। তাই কয়েক মাস ধরে মুখের চুলগুলোকে বড় হতে দিয়েছেন। আর তা নিয়েই নিজের সম্পর্কে অনলাইনে ডকুমেন্টারি দিচ্ছেন।
নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার সন্দেহ হয় যে, আমি যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ি, তখনই এই দাড়ি উঠা শুরু হয়েছে। ২৪/২৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আমি এসব নিয়ে কোনো পরীক্ষা করাই নি। মুখে দাড়ি নিয়ে চলাফেরা আমার জন্য খুব বিব্রতকর অবস্থা ছিল। কারণ, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে এভাবে তো চলা যায় না। জানতাম, আমার দাড়ি নিয়ে তাদের মধ্যে গেলে সামাজিক ক্ষতি হবে। তাই দাড়ি লুকানোর জন্য টানা কয়েকটি বছর আমি শেভ করেছি। কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলাও আমার জন্য কঠিন ছিল। কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক, অন্তরঙ্গ বা রোমান্টিক সম্পর্কে যাওয়া আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। প্রতিদিন ঘুম থেকে জাগার পর আমার প্রথম কাজ ছিল শেভ করা। সব সময় আমার পার্সে রেজর আর মেকআপ রাখতে হতো।
কিন্তু এ বছরেই তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। মেনে নেন মুখের দাড়ি।
বিএসডি/এএ