বিশ্ব ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৮৮ আর ভারত ১০৫। স্বাভাবিকভাবে খাতা–কলমে ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থেকে মাঠে নামতে হয় বাংলাদেশকে। জাতীয় দলের হিসাবটা যেমনই হোক, ক্লাব ফুটবলের লড়াইয়ে মোহনবাগানের বিপক্ষে বসুন্ধরা তেমন পিছিয়ে নেই বলেই মনে করেন সবাই। গ্রুপ পর্বে বসুন্ধরার এক জয় ও এক ড্রয়ের বিপরীতে মোহনবাগানের দুই জয়। বসুন্ধরার সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গা, একমাত্র দল হিসেবে তারা কোনো গোল হজম করেনি। গোলকিপার আনিসুর রহমান ছাড়াও এ জন্য বড় কৃতিত্ব দিতে হবে তপু বর্মণ, খালিদ সাফিহ, বিশ্বনাথ ঘোষ ও তারিক রায়হানদের নিয়ে গড়া রক্ষণভাগকে।
মোহনবাগানের বিপক্ষেও ভালো কিছুর আশা দেখছেন অধিনায়ক ও সেন্টারব্যাক তপু। ম্যাচ পর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক অভিজ্ঞ ও ভালো খেলোয়াড় আছে। ম্যাচটি নিয়ে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী। আমরা লিগের চ্যাম্পিয়ন দল। মোহনবাগান আইএসএলের রানার্সআপ দল। আমরা যদি পুরো ৯০ মিনিট মনোযোগ ধরে রাখতে পারি, আমাদের জন্য ভালো কিছু হবে।’
বসুন্ধরায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। মোহনবাগানেও আছেন ভারতীয় জাতীয় দলের আমরিন্দার সিং, প্রিতম কোটাল, সুভাশিষ বোশসহ আরও কয়েক খেলোয়াড়।
ম্যাচে তাই চলে আসছে দেশের আমেজ। তপু বলেন, ‘এটা বড় ম্যাচ। এই ম্যাচই নির্ধারিত করবে কে পরবর্তী রাউন্ডে যাবে। এটা এখন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান অনেক পুরোনো দল। বসুন্ধরা তিন-চার বছর ধরে খেলছে। কিন্তু আমাদের সাফল্য অনেক। আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ ও জাতীয় দলের খেলোয়াড় আছে।’
সর্বশেষ ম্যাচে মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারানোর আগে স্বদেশি বেঙ্গালুরু এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান। সে ম্যাচে বর্তমান আইএসএল রানার্সআপদের দুটি গোলই ছিল সেট পিস থেকে। সে ব্যাপারে সতর্ক আছে বসুন্ধরা। তপুর কথায় তা স্পষ্ট, ‘মোহনবাগান সেট পিসে খুবই শক্তিশালী। তাই ডি বক্সের আশেপাশে আমাদের অহেতুক ফাউল করতে নিষেধ করেছেন কোচ। আমাদের রক্ষণভাগের মাথাতেও বিষয়টি আছে।’