বেশিরভাগ সময় জীবন আমাদের সাথে কথা বলেনা, শুধুই ধাক্কা দেয়। একেকটা ধাক্কায় জীবন যেন বলে উঠতে চায় ”জেগে ওঠো আমি তোমাকে কিছু শেখাতে চাই। জীবনের সাথে জগতের এই বিরামহীন যুদ্ধ চলে আমাদের শেষ দিন অবধি। কেউ সময়ের সাথে মানিয়ে নিয়ে হয়তো প্রমাণ করেন নিজেকে, কেউবা এ যুদ্ধে হারিয়ে ফেলেন নিজের লালিত ইচ্ছাকে। কিন্তু কিছু মানুষ থাকে যারা নিজেকে প্রমাণ করতে তার সর্ব্বোচ্চটা ঢেলে দেন। এরা হারিয়ে যাবার পাত্র নয়। বলছিলাম তাদেরই একজন শিবু দাশ সুমিতের কথা। চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কেটেছে দুরন্ত শৈশব। শুরু থেকে সবকিছু নিজের ইচ্ছেমাফিক না হলেও কখনো হাল ছেড়ে দেননি তিনি। লেগে থাকার প্রবল ইচ্ছা, ধৈর্য আর অধ্যবসায় দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ৩৮ তম বিসিএস প্রশাসনে। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নড়াইলে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও ট্রেজারি অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি তার পড়াশোনা, সফলতা , ব্যর্থতা আর ঘুরে দাঁড়ানোর নানা প্রসঙ্গ নিয়ে দৈনিক বর্তমান সময়ের সাথে কথা বলেছেন তিনি। তার মুখোমুখি হয়েছিলেন ওয়াহিদ তাওসিফ (মুছা) ।
বর্তমান সময় – কেমন আছেন?
শিবু দাশ সুমিত– সৃষ্টিকর্তার বদৌলতে বেশ ভালোই আছি বলতে পারেন।
বর্তমান সময় – আপনার নিজের সম্পর্কে কী বলে শুরু করতে চান?
শিবু দাশ সুমিত– আমার সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল বলতে পারবে আমার পরিবার, বন্ধুরা আর আমার আত্নীয়স্বজন । তবে আমার মনে হয়েছে ”লেগে থাকার প্রবল ইচ্ছা” আমার সেই ছোট বেলা থেকেই ছিল। ধৈর্য, প্রবল ইচ্ছা আর কোন জিনিসকে না পাওয়া অবধি নিরন্তর চেষ্টা করে চলে আমি।
বর্তমান সময় –– আপনার ছোটবেলার গল্প শুনতে চাই, বেড়ে ওঠা এবং শৈশবের স্মৃতি নিয়ে জানতে চাই।
শিবু দাশ সুমিত– আমার ছেলেবেলা কেটেছে সৌন্দর্যের দয়িতা রাঙ্গামাটির এক অসম্ভব সুন্দর পাহাড়ী সুনিবিড় ছায়াঘেরা ছোট্ট গ্রামে। পঞ্চম শ্রেণী অবধি কেটেছে সেখানেই। যেখানে রয়েছে আমার দুরন্ত প্রাণোচ্ছল শৈশব। অকপটে স্বীকার করছি সেসময় খুব দুষ্টু প্রকৃতির ছিলাম আমি, ছোট বড় সবাইকে প্রচণ্ড জ্বালিয়েছি। আমার স্কুলটি পাহাড়ের উপরে থাকায় প্রতিদিন ছুটির পরে আমাদের পাহাড় থেকে নিচে নেমে আসার দৌড় প্রতিযোগিতার সেই স্মৃতি আজও মনে পড়ে। স্কুলের পাশেই এক বিরাট আম গাছ ছিল, শ্রেণীকক্ষে পড়ালেখা করার চাইতে সেই গাছের নিচে বসে থাকতে বেশি ভালো লাগতো নিজের কাছে৷ কি অনিন্দ্য সুন্দর ছিল সে দিনগুলো!! আমি খুব ভাগ্যবান যে, আমার বন্ধু-বান্ধব সবাই খুব মিশুক আর সহযোগী মনোভাবাপন্ন ছিল বলেই হয়তো ভাঙা-গড়ার অনন্ত সময়ে আমি আজকের এই আমি হয়ে উঠতে পেরেছি। নতুন কিছু শেখা আর জানার ক্ষেত্রে তাদের সবাই ছিল বেশ উদার।
বর্তমান সময় – এত চাকুরীর ক্ষেত্র থাকতে বিসিএসকে কেন বেছে নিলেন?
শিবু দাশ সুমিত– জীবনের উদ্দেশ্য প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হয় আমাদের। কখনো ভাবতাম ড্রাইভার হব কখনোবা পাইলট আবার কখনো ফেরিওয়ালা। তবে পরিণত হলে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যও হয়তো বদলাতে থাকে। আমার বেলায়ও এর ব্যাতায় ঘটেনি। স্কুলে পড়া অবস্থায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রায়ই স্যাররা বলতেন ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আসবেন। দেখতে কেমন হবেন তিনি, কেন এত সম্মান তাঁর, কেনই বা এত আলোচনা তাঁকে ঘিরে এসবের নানান যোজন-বিয়োজন কাজ করত আমার মাঝে। পঞ্চম শ্রেণীতে আমাদের বৃত্তি পরীক্ষায় এক উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার পরিদর্শনে এসেছিলেন৷ সত্যিটা হল তিনি আমাদের মাঝে তখন ম্যাজিস্ট্রেট স্যার নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। পরীক্ষার হলে ঘুরতে ঘুরতে তিনি যখন আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন জিজ্ঞাসা করলেন কেমন লিখছো, প্রশ্ন কেমন হয়েছে? সেই থেকে স্বপ্নের শুরু৷
বর্তমান সময়– কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ?
শিবু দাশ সুমিত– আমার ৩৭ বিসিএস এ গোছানো প্রস্তুতি না থাকায় আশানুরূপ ফল পাইনি। তবে ৩৮ বিসিএস এ প্রস্তুতির শুরুতেই ” জব সলুশন” এর প্রিভিয়াস প্রশ্ন এনালাইসিস করেছিলাম। এর ফলে কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কোনটা বাদ দেয়া প্রয়োজন, কোন বিষয়গুলো থেকে বার বার প্রশ্ন কমন আসছিল এসব নিয়ে একটা ভালো ধারণা পেয়েছিলাম। যে বিষয়গুলোয় দুর্বলতা অনুভব করি, তার পেছনে যথেষ্ট সময় দেই। মূল বইয়ের সঙ্গে সাপ্লিমেন্টারি বই সংগ্রহ করি। প্রথমদিকে সিলেবাসের বিশালতা দেখে একটু বিমর্ষ হই। কিছু কিছু বিষয়বস্তুর সাথে পরিচিত হতে সময় লেগেছিল এবং জড়তা কাজ করছিল। এরপর দাগিয়ে দাগিয়ে মূল বই, সহায়ক বই ও সংবাদপত্র-সাময়িকী পড়া শুরু করি। বাংলা, ইংরেজি সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, মানচিত্র, ম্যাথ ও বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট করে রাখতাম এবং সময় সময় সেগুলোয় চোখ বোলাতাম। তবে ইংলিশ, বিজ্ঞান এবং ম্যাথে নিয়মিত সময় দিয়েছি।
বর্তমান সময় – ৩৮ তম বিসিএস এ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হবার বিষয়টি জানার পর কেমন অনুভূতি ছিল ?
শিবু দাশ সুমিত – আমার কাছে মনে হয়েছে জীবনের সেরা অনুভূতিগুলোর মাঝে সেই মুহূর্তটি ছিল বেশ অনন্য। অনেক আবেগ, চাওয়া-পাওয়া আর উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছিল সেই দিনটিতে। সময়টা ছিল মঙ্গলবার, ৩০ জুন, সন্ধ্যার কাছাকাছি কোন এক মুহূর্ত। রেজাল্ট শিটে যখন নিজের রোল দেখছিলাম তখন প্রচণ্ড উত্তেজনা আর অনিশ্চয়তা কাজ করছিল। রোল খুঁজে পাবার পর বেশ কিছু সময় স্থির হয়ে বারবার নিজের রোল ঠিক আছে কিনা তাই দেখছিলাম। পরবর্তীতে ছোট ভাইকে বললাম ওয়েবসাইট হতে আবার রেজাল্ট শিটের পিডিএফ নামাতে। রোল খুঁজে পাবার পর সে বলল বিসিএস প্রশাসনে রোল আছে। আমি সেই মুহুর্তের আমাকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাকে পুনরায় দেখতে বললাম। সে নিশ্চিত করল প্রশাসন ক্যাডারেই সুপারিশপ্রাপ্ত। সবকিছু মিলিয়ে সেদিনের সেই সন্ধ্যা ছিল এক প্রবল উচ্ছ্বাস আর আনন্দের সাক্ষী৷
বর্তমান সময় – বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিসিএস নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যায়। এমনকি কেউ কেউ বিসিএসকে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য মনে করেন। এমনটা কি হওয়া উচিত?
শিবু দাশ সুমিত– আমি মনে করে বিসিএস একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। এতে ব্যক্তি ডিপ্রেশনে চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৪১ বিসিএস এ প্রায় চার লক্ষাধিকের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। কিন্তু পিএসসি মাত্র ২১ হাজারের একটু বেশি শিক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করেছে। শুধুমাত্র বিসিএস ওরিয়েন্টেড হওয়াতে আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার চিত্র হরহামেশাই ভয়ংকরভাবে বাড়ছে। এক অসুস্থ প্রতিযোগিতার দৌড় চলছে প্রতিনিয়ত৷ দিন শেষে বিসিএস প্রথম শ্রেণীর একটি চাকুরী মাত্র। জীবন সহজ, একে সহজ ভাবেই মেনে নিন। শুধু বিসিএসের চিন্তায় থেকে জীবনের অনেক সময় অযথাই হারিয়ে ফেলছি আমরা। বাড়ছে জীবনের সাথে সময়ের দূরত্ব। তাই বিসিএস এর পাশাপাশি অন্য জবের চেষ্টা করাও উচিত।
এগিয়ে যেতে হলে আপনাকে ছাড় দিতে হবে,অনেক কিছু না দেখার এবং অনুভব না করার চেষ্টা করতে হবে। সবকিছু আঁকড়ে ধরতে গেলে বা বেশি গুরুত্ব দিলে এগিয়ে যেতে পারবেন না। আপনাকে প্রতিনিয়ত পরাজিত হতে হবে জীবনের বাঁকে বাঁকে।
বর্তমান সময় – আপনার সফলতার পেছনে নিশ্চয় ব্যর্থতার গল্পও লুকিয়ে আছে। এমন কিছু ব্যর্থতার গল্প শুনতে চাই।
শিবু দাশ সুমিত – আপনি ব্যর্থ হতেই পারেন,এতে অবাক হবার কিছু নেই। কেউ কেউ ৬-৭ বার বিসিএস দিয়েও নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুধুমাত্র সফল হয়ে। লেগে থাকার এই মানসিকতা নিয়েই তারা যদি সামনে এগিয়ে যেতে পারে তবে আপনি কেন নয়? এগিয়ে যেতে হলে আপনাকে ছাড় দিতে হবে,অনেক কিছু না দেখার এবং অনুভব না করার চেষ্টা করতে হবে। সবকিছু আঁকড়ে ধরতে গেলে বা বেশি গুরুত্ব দিলে এগিয়ে যেতে পারবেন না। আপনাকে প্রতিনিয়ত পরাজিত হতে হবে জীবনের বাঁকে বাঁকে। কিছু প্রশ্নের উত্তর কখনো মেলে না। চাইলেও নয়। দেয়ালের বিপরীত পাশে থেকে নেপথ্য অনুপ্রেরণাও একদিন সময়ের সাথে ফিকে হয়ে যায়। জীবনের অনেক অসম্পূর্ণ গল্প থাকে, যার বাকিটা সময়ই চুকিয়ে দেয়। কত জীবন আছে দারুণ সম্ভাবনা থেকে ঝরে পড়ে নিভৃতেই , কিন্তু কি লাভ এসব জেনে, বিষাদ বাড়িয়ে!
বর্তমান সময় – বিসিএস দিতে যারা আগ্রহী, তাদের জন্য কি পরামর্শ থাকবে?
শিবু দাশ সুমিত- নতুনদের জন্য বলতে চাই, কোন বিষয়টি রিডিং পড়ে মনে রাখবেন, কোন বিষয়টি নোট করবেন আর কোনটি বাদ দেবেন; সেটা নিজে নিজে অধ্যয়ন করে বের করুন। নিয়মিত অনুশীলন সফলতার চাবিকাঠি। পড়ার মাঝে যেন গ্যাপ না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রস্তুতির এ সময়ে অনেক হতাশা কাজ করতে পারে। মনে রাখতে হবে, আপনার জন্য যা মঙ্গল, সৃষ্টিকর্তা সেটাই আপনাকে দেবেন। কিন্তু প্রস্তুতিতে কোনো অবহেলা করা যাবে না। আপনার সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে দৈনিক নির্ধারিত প্ল্যান করুন এবং যত কষ্টই হোক না কেন প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করুন। পরিমিত চেষ্টা করুন আর ভরসা রাখুন আপনার প্রতিপালকের উপর৷ পাশাপাশি নিয়মিত পড়াশোনা, পরিবারকে সময় দেওয়া, তথ্যনির্ভর ইতিবাচক কাজে ফেসবুক ব্যবহার করা, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ধর্ম চর্চায় মন দিন। দিনশেষে শেষ হাসিটা আপনিই হাসবেন৷
বর্তমান সময় – ভাইভার প্রস্তুতি কেমন হতে হয়?
শিবু দাশ সুমিত– ভাইভা আসলে অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের মনমেজাজ সেদিন কেমন থাকে সেটাও একটা ফ্যাক্টর। পাশাপাশি ফেসবুকের বিসিএস রিলেটেড গ্রুপগুলোতে অনেক ইনফরমেশন পাওয়া যায়; যা বাজারের অনেক বইতেও পাওয়া মুশকিল। লাইক, কমেন্ট,চ্যাটিং না করে বিসিএস সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শাণিত করতে পারবেন নিজের মেধাকে। বিসিএস এর পূর্ববর্তী রিয়েল ভাইভা থেকেও জানতে পারবেন নানা বিষয়৷ চাইলে ভাইভা সংক্রান্ত বই থেকেও সহায়তা নিতে পারেন৷
বর্তমান সময় – পর্দার আড়াল থেকে কেউ অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে গেছেন ? কার কথা বেশি মনে
পড়ে?
শিবু দাশ সুমিত– মা সবসময় সাহস যুগিয়ে গেছেন। আমার প্রস্তুতির প্রতিটি মুহূর্তেই তিনি পাশে থেকেছেন নীরবেই। যুগিয়েছেন নিরন্তর সাহস-অনুপ্রেরণা। কোন কিছুর পেছনে লেগে থাকার অদম্য ইচ্ছাটুকু তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া বলা যায়। সচরাচর দেখা যায় যখন আপনি কোন কিছুর জন্য চেষ্টা করছেন তখন আপনার পরিবারের চেয়ে অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদের চিন্তাটা বেশি বেড়ে যায়। মূলত তাদের এই চিন্তাটা পজিটিভ অর্থে হয় না তেমন একটা। তখন ফ্যামিলি সাপোর্টটা অনেক জরুরী। সে সময়গুলোতে আমি যে সাপোর্ট পেয়েছি সেটা শুধুমাত্র মায়ের জন্য সম্ভব হয়েছে। লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে তিনি শুধু আমাকে সমৃদ্ধই করে গেছেন।
বর্তমান সময় – মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়েছিলেন?
শিবু দাশ সুমিত– কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে আমাদের নিয়োগ হয়। এই সময়টাতে সরাসরি জনগণের সান্নিধ্যে থেকে মাঠে কাজ করাটা বাস্তবিক অর্থেই বেশ চ্যালেঞ্জিং বলা যায়। সদাশয় সরকার আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করতে গিয়ে মাঝেমাঝেই অনেক বেগ পেতে হয়। এছাড়া এ সময়ে জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিনই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়, খোলাবাজারে ন্যায্যা মূল্যে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি কার্যক্রম তদারকি, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ আরো বিভিন্ন কাজ সরাসরি তদারক করতে হয়। বলতে পারেন কাজের অনেক ভ্যারিয়েশন আছে। তাই চ্যালেঞ্জটাও আসলে বহুমুখী।
বর্তমান সময়– আমাদের সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।
শিবু দাশ সুমিত – আপনাদের জন্য অফুরান ভালোবাসা। বর্তমান সময়ের জন্য নিরন্তর শুভকামনা এবং উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি ।
বিএসডি/এমএম