ক্রীড়া ডেস্ক,
আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হবে আন্তর্জাতিক বিরতি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ সবগুলো ল্যাটিন দল। খেলা রয়েছে আফ্রিকার দলগুলোরও। সেসময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে অনেক খেলোয়াড়েরই জাতীয় দলের হয়ে খেলার কথা ছিল। এতে বাধ সেধেছে ইপিএল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলোতে খেলোয়াড় পাঠাতে চায় না তারা।
যুক্তরাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএল। লাল তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে ইংল্যান্ডে ফেরার পর ফুটবলারদের বাধ্যতামূলক ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। তাতে ক্লাবের হয়ে একাধিক ম্যাচ মিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফুটবলারদের।
বিবিসি জানায়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়তার সঙ্গে সমর্থন জানিয়েছে।
১৯টি ক্লাবের প্রায় ৬০ জন খেলোয়াড়কে করোনাভাইরাসের ‘রেড মার্কড’ ২৬টি দেশে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ইপিএলের সিদ্ধান্তের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে অনেক খেলোয়াড়কে পাবে না দুদল।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ফ্রেড, থিয়াগো সিলভা, এডেরসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, আলিসন, ফ্যাবিনিও, রবার্তো ফিরমিনো, রিচার্লিশন ও রাফিনহা খেলতে পারবেন না ব্রাজিলের হয়ে। আর্জেন্টিনা পাবে না গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জিওভানি লো সেলসো, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে। লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহও যেতে পারবেন না মিশরে।
প্রিমিয়ার লীগের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মাস্টার্স বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগ সর্বদাই ফুটবলারদের সমর্থন করে। দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সবসময়ই গর্বের। তবে এই পরিস্থিতিতে (করোনাভাইরাস) খেলোয়াড়দের ছুটি দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।’
ফিফার নিয়ম মেনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েরেছ বলে জানিয়েছে প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষ। যদিও ইংলিশ ক্লাবগুলো কোয়ারেন্টিন শিথিল করার আবেদন জানিয়েছিল বৃটিশ সরকারের কাছে। তাতে মেলেনি সাড়া।
তবে ফিফা বলছে ভিন্ন কথা। ইপিএলের এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে না বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কড়া সতর্কতা দিয়েছেন ক্লাবগুলোকে। যদি খেলোয়াড়দের বিশ^কাপ বাছাইপর্বে খেলার অনুমতি না দেয় তবে তারা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে।
বিএসডি/এএ