পিরোজপুর প্রতিনিধি ,
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অর্থ আত্মসাৎকারী সন্ত্রাসী শফিকুলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং সকল অন্যায়ের কবল থেকে বাঁচার জন্য নিরাপদ থাকতে চেয়ে ভুক্তভোগী প্রায় ১০ পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় স্থানীয় ডাকবাংলোয় এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের ভুক্তভোগী ওই ১০ পরিবার। সংবাদ সম্মেলন পরিবারগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের ছোট ভাই নাসীর হাওলাদার। তিনি নিজেও শফিকুল দ্বারা নানাভাবে অন্যায়ের শিকার হওয়া এক ভুক্তভোগী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তুষখালী ইউনিয়নে চাঁদাবাজ,অন্যের অর্থ আত্মসাৎ,সন্ত্রাস নারী কেলেংকারীসহ ১১টি মামলার আসামি শফিকুল অত্যন্ত দুধর্ষ কু-প্রকৃতির লোক। তার অর্থ আত্মসাৎ করা নেশা ও পেশা, তিনি না পারেন এমন কোন কুকর্ম নেই। অতি দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষের কাছ থেকে ইতিপূর্বে মাননীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী এমপির লোক বলে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর, সৌর বিদ্যুৎ, রেইন ওয়াটার ট্যাংক দেয়ার নাম করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। অথচ এ পর্যন্ত সে কাজের কোন আলোর মুখ দেখিনি। ১৮/১৯ অর্থ বছরে ধানিসাফা ইউনিয়ন ক্ষুদ্র পানি সেচ প্রকল্প সমিতির মাধ্যমে তুষখালী ইউনিয়নের বাঁশগরি খালের গুদিঘাটা হতে ওয়াপদা বেরিবাঁধ পর্যন্ত একটি খাল খনন করেছে। যার প্রকল্পিত ব্যয় ৯৯ লাখ টাকা। সে কাজের অর্থ যোগানোর জন্য নাসীর হাওলাদার, হাবিবুর রহমান আকন, বশির আহম্মেদ, এস এম খাইরুল ইসলাম, মাছুম খলিফাসহ একাধিক লোক থেকে ওই কাজের লভ্যাংশ দেয়ার নাম করে প্রতারণা মূলক ওই টাকা সে হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি ওই কাজে শ্রম দেয়া শ্রমিকের মজুরীও সঠিকভাবে প্রদান করেনি।
শফিকুলের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা ও কোর্টে প্রতারণা ও মারামারিসহ ১১টি মামলা চলমান রয়েছে। আমার (নাসীর হাওলাদার) কাছ থেকে তুষখালী বাজারে ভিটি রেজিস্ট্রি দেয়ার নাম করে শফিকুলের স্বাক্ষরিত সোনালী ব্যাংকের একটি অলিখিত চেক ও অলিখিত স্ট্যাম্পে ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার ১শ ৮০ টাকা হাতিয়ে নেয়। যে ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় তার বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে প্রতারণা মামলা দায়ের করলে সে মামলায় ৩ মাসের অধিক সময় জেল হাজতে ছিল।
বর্তমানে জেল থেকে জামিন নিয়ে একের পর এক এলাকার নিরীহ লোককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। তার তাণ্ডবে গোটা তুষখালী বাসী অতিষ্ঠ হয়ে আছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে শফিকুলের বিরুদ্ধে ১১ ইউপি চেয়ারম্যান তার অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির প্রমাণসহ একটি লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছেন।
অপর দিকে তুষখালীর সর্বস্তরের জনগণ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহগণের জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।