নিয়াজউদ্দিন হাক্কানির বরাত দিয়ে ওই খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যেই মার্কিন বহনযোগ্য বায়োমেট্রিক স্ক্যানার তারা ব্যবহার করা শুরু করেছে। এসব স্ক্যানারের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর সৃষ্ট ডেটাবেইস থেকে সহজেই মার্কিন বা ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করেছেন, এমন আফগানদের চিহ্নিত করা যাবে।
হাক্কানি আরও বলেছেন , কোনো আফগান মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিগত সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে। তবে আফগানিস্তানে এমন সাত হাজার মার্কিন বহনযোগ্য স্ক্যানারের মধ্যে কতটা তালেবানের হাতে পড়েছে, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। আফগানিস্তান ছাড়ার সময় এসব বায়োমেট্রিকের ডেটাবেইস মার্কিন বাহিনী নষ্ট করেছে কি না, তা–ও নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি।
আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর করা ডেটাবেইসে আঙুলের ছাপ, চোখের জ্যোতির মাধ্যমে শনাক্ত করাসহ আফগানদের নানা শনাক্তকরণ তথ্য যুক্ত রয়েছে। আফগান সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনে এসব তথ্য সংরক্ষিত ছিল। আফগান অটোমেটেড বায়োমেট্রিক আইডেনটিফিকেশন সিস্টেমের (এএবিআইএস ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৫০ আফগানের নাগরিক বিভাগে কর্মরত থাকার কথা আগেই জানানো হয়েছিল।
নিয়াজউদ্দিন হাক্কানি জানিয়েছেন, তাঁরা নতুন কোনো তথ্য সংগ্রহ করছেন না। মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে কারা কাজ করেছেন বা করেননি, নিজেদের হাতে থাকা তথ্যের ভিত্তিতেই এসব খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের একটি তালিকা তালেবানের কাছে এরই মধ্যে দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ তালিকার মাধ্যমে আল ঈসা আফগানিস্তানে সহজেই মার্কিন মিত্র সন্ধান করে প্রতিশোধ নিতে পারবে।
বিএসডি/এএ