আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দরে না আসার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক দেশ ত্যাগের জন্য যারা বিমানবন্দরের চারটি গেটের নিকটবর্তী রয়েছে, তারা যেন সেখান থেকে সরে যায়।
আবারও হামলার আশঙ্কার কারণে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে তথ্যটি জানানো হয়।
২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার একদিন পর গতকাল শুক্রবার এ নির্দেশনা আসল। পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ জনের বেশি আফগান নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে কাবুল বিমানবন্দর ঘিরে আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে। হামলার হুমকি ‘নির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য’। এজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি এবং পরবর্তীতে আরও হামলা হবে বলে আশঙ্কা করছি।
খবরে বলা হচ্ছে, কাবুল বিমানবন্দরে হামলার পর থেকে নাগরিকদের প্রত্যাহার কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। বিমানবন্দর থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা ভয়েস অব আমেরিকাকে জানান, বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট স্থানে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমন্বিত কার্যক্রম এখনও চোখে পড়ছে না। কিন্তু দূতাবাসের কর্মকর্তারা মার্কিন নাগরিকদের প্রত্যাহারে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানাচ্ছে, ওইদিন দুটি হামলার ঘটনা ঘটেনি, হামলা একটাই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর জেনারেল হ্যাঙ্ক টেইলর বলছেন, তথ্য বিভ্রাটের নানা কারণ থাকতে পারে। এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ার দরকার নেই।
খবরে বলা হচ্ছে, এত ভয়াবহ হামলার পরও আফগান ত্যাগে ইচ্ছুকরা বিমানবন্দরের গেটগুলোতে ভিড় করছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবার আরও একটি হামলার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানান, আত্মঘাতী বোমা হামলার স্থান তালেবান যোদ্ধারা ঘিরে রেখেছে।
এক ঘণ্টা পর কাবুলের ওই হামলার দায় স্বীকার করে আইএস-কে। খবরে বলা হচ্ছে, বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটে ওই আত্মঘাতী হামলাকারী ১১ কেজি বিস্ফোরক ও বিস্ফোরক সরঞ্জাম বহন করছিল।
পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান ফ্রাঙ্ক ম্যাককিনজি বলেন, বোমা হামলার পর একটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটেছে।
বিএসডি/এএ