লাইফস্টাইল ডেস্ক,
দেশের গ্রামাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাটিতে বসে খাওয়া হয় এখনো। কিন্তু শহরাঞ্চলে এই প্রথাটা ওঠে গেছে বললেই চলে। ডাক্তাররা বলছেন, পারলে আবারো সেই অভ্যাসটা ফিরিয়ে আনুন। দেহের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান এই খাবার খাওয়ার অভ্যাসের মাধ্যমেই হয়ে যাবে। মাটিতে বসে খাওয়াতে কী কী উপকারিতা পাওয়া যাবে, তার একটা বিবরণ দেয়া হলো-
মানসিক চাপ দূর করে: ডাক্তাররা বলছেন, মাটিতে বসে খাওয়ার ফলে অ্যাবডোমেনের মাসলে টান পড়ে। এর ফলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হজম ভালো হয়: মাটিতে বসে খাবার খেলে খাবারটা হজম হয় তাড়াতাড়ি। কারণ এক্ষেত্রে আপনি মাটিতে প্লেট রেখে সামান্য ঝুঁকে খাচ্ছেন। তারপর আবার সোজা হয়ে বসছেন। মাটিতে বসে খেলে সাধারণত এভাবেই খাওয়া হয়। আর বারবার এ ঘটনা ঘটে বলেই হজম হয় দ্রুত।
পেশী শক্তিশালী হয়: মাটিতে বা মেঝেতে খাওয়ার ফলে আপনার দেহের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। এটি আপনার পেশীকে শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়াও, সঠিক ভঙ্গিতে বসা হয় বলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটে। এর জেরে হৃৎপিণ্ডকেও কম পরিশ্রম করতে হয়। এইভাবে বসলে আপনার মেরুদণ্ডের নীচের অংশে জোর দেওয়া হয়, যা আপনার শ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে: মাটিতে বসে খাবার খেতে হলে হাঁটুতো বাকাতেই হয়। এছাড়া মাটিতে খাওয়ার বিষয়টি হিপ সন্ধি, হাঁটু ও গোড়ালি নমনীয় করে তোলে। এই নমনীয়তার ফলে জয়েন্টগুলি মসৃণ থাকে। তাদের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে, যার কারণে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা এড়ানো যায় খুব সহজেই।
রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়: এ পদ্ধতিতে খাবার গ্রহণ করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি হয়। স্নায়ুর প্রসারকেও সরিয়ে দেয়। এটি হার্টের চারপাশের চাপও হ্রাস করে। তাই আপনি যদি হার্টের রোগী হন, ডাইনিং টেবিল বা টেবিল-চেয়ারে বসে না খেয়ে আজই মাটিতে বসে খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এভাবে খেলে কোমর, পা থেকে মেরুদণ্ড, সব কিছুর উপকার হয়। তাই অভ্যাস করলে একসঙ্গে অনেক উপকার মেলে।
ওজন কমতে পারে দ্রুত: এভাবে খেলে সহজেই অ্যাবডোমেনের মাসেলের মুভমেন্ট হয় যা পেটের মেদ অনেকটা কমতে পারে। এতে মাথারও অনেকটা রিল্যাক্স হয়। আর এভাবে বসে খেলে একেবারে অতিরিক্ত বেশি খাওয়া সম্ভব নয়। ফলে খাওয়া নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর পুরো বিষয়টা ওজন কমাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
বিএসডি/এএ