নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ফুটপাত বা রাস্তা দখলের অধিকার কারো নেই। সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। যারা ফুটপাত বা রাস্তা দখল করে রেখেছেন তাদের নিজ দায়িত্বে দখল ছেড়ে দিতে হবে। ফুটপাতের দখল না ছাড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার রাজধানীর মিরপুর এলাকায় মশক নিধনে বিশেষ অভিযান সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে মেয়রের নির্দেশে সেনপাড়া পর্বতা এলাকার ফুটপাতের দোকানপাট স্থানীয় বাসিন্দা ও বুলডোজারের সহায়তায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, মিরপুরের বিআরটিএ অফিসটি এডিস মশার লার্ভা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। অফিসটির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি লার্ভা দৃশ্যমান রয়েছে বলেই এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত, সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কারো একার পক্ষে এডিস মশা দূর করা সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তাররোধ ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি বা অফিস কোথাও যাতে তিনদিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশার ঘনত্ব বিবেচনায় ডিএনসিসির ১০, ১১, ১৪, ১৭, ২০ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মশক নিধনে আজ থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, যে বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই বাড়িসহ তার আশেপাশে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ওষুধ স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিএসডি/এমএম