নিজস্ব প্রতিবেদক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত গর্বের জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে সেই গর্ব ও অহংকারের জায়গায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন। এ করোনা মহামারিতেও বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যায়নি। আজ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে।
রোববার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বারডেম শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন আর দরিদ্র এবং ঋণগ্রস্ত দেশ নই। আমরা এখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করতে পারি। আমরা এখন পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি। গ্রামগুলো আজ বর্ণিল হয়েছে। গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। যেই বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ’র পেছনে ঘুরতো ঋণের জন্য, সেই বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিচ্ছে। এ বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের মঞ্জুরির জন্য তদবির করতো, সেই বাংলাদেশ এখন সুদানকে মঞ্জুরির অর্থ দিচ্ছে।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করা দরকার। তাহলেই জানা যাবে কফিনে কী ছিল। কফিনে জিয়ার লাশ সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তথ্যভিত্তিক। তবুও মির্জা ফখরুল হাস্যকর বলছেন। তার চিকিৎসা করানো দরকার।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের দিনের সেই ঘটনায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে। সেই সময়ে যারা বেঁচেছিলেন তারা পরবর্তীতে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। সেগুলো এখন বড় প্রশ্ন। কাজেই সেটারও রহস্য উদঘাটন করা দরকার।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, কফিনে ডেডবডি থাক বা না থাক, বিএনপি পলিটিক্যালি ডেডবডিতে পরিণত হয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ বারডেম শাখার সভাপতি অধ্যাপক মীর নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক (ভার্চুয়ালি), বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন প্রমুখ।
বিএসডি/এমএম