নিজস্ব প্রতিবেদক,
একদিন কিছুটা স্থিতিশীল থাকার পর আবারও ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানির সমতল বাড়ার আভাস রয়েছে। এছাড়া বাড়ছে পদ্মার পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বন্যাপ্রবণ নদ-নদীগুলোর পানি কমার আপাতত লক্ষণ নেই। ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। মঙ্গলবারের (৩১ আগস্ট) মধ্যে উভয় নদীর পানি সমতল আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার মনু এবং খোয়াই ব্যতীত প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
নদ-নদীর পানি বাড়ায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী এবং ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে ছয়টি নদ-নদীর পানি ১৩টি স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারীতে ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, জামালপুরের বাহাদুরাবাদে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কাজিপুরে ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সিরাজগঞ্জে ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়িতে ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাবনার মথুরায় ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও মানিকগঞ্জের আরিচায় ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া আত্রাইয়ের পানি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরীর পানি টাঙ্গাইলের এলাসিনে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পদ্মার পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে সোমবার (৩০ আগস্ট) ৪৪টিতে পানির সমতল বেড়েছে। কমেছে ৫৬টি স্টেশনের পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে নয়টি স্টেশনের পানির সমতল। আর ১৩টি স্টেশনের পানির সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিএসডি/আইপি