আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবশেষ ফ্লাইটটিও আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে। সোমবার (৩০ আগস্ট) ফ্লাইটটি কাবুল থেকে ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মাধ্যমে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছে। ১৪ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে তাদের নেওয়া হয়।
এক ব্রিফিংয়ে কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়, বরং এটি প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তি, যে যুদ্ধ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।’
গত এপ্রিলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহারে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী সৈন্য প্রত্যাহার শেষ করল মার্কিনিরা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে আল-কায়েদার জঙ্গি হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করে। অবশেষে সেই আফগান যুদ্ধের অবসান হলো।
মার্কিন অভিযানে ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত ইসলামি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী তালেবান আবারও ক্ষমতায় ফিরেছে গত ১৫ আগস্ট। তালেবানের শাসনের ভয়ে হাজার হাজার আফগান দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরে ভিড় করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তানে তাদের সহযোগীদের সরিয়ে নেয়।
কাবুল বিমানবন্দর শেষ পর্যন্ত মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। তারা বিমানবন্দর থেকে সামরিক-বেসামরিক লোকজন সরিয়ে নেয়। তবে শেষ মুহূর্তে মার্কিন সামরিক বাহিনী নিজেদের এবং আমেরিকান কূটনীতিকদের নিরাপদে কাবুলের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।
বিএসডি/এএ