আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় শ্রীলঙ্কার সরকার দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। শ্রীলঙ্কার সরকার বলছে, দেশটির ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোর ফরেন এক্সচেঞ্জ শেষ হয়ে যাওয়া আমদানি করার মতো যথেষ্ট টাকা নেই। খবর আল জাজিরার।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এমনিতেই বেশ খারাপ সময় পার করছে। এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি চিনি, চাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারের মজুদ মোকাবেলায় জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ব্যবসায়ীদের কাছে মজুদ থাকা খাদ্য জব্দ, প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুদকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের নিয়ন্ত্রিত মূল্য নির্ধারণের জন্য ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের।
ধান, চাল, চিনি এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের সরবরাহের সমন্বয় সাধনের জন্য একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে এসেনশিয়াল সার্ভিসের কমিশনার জেনারেল হিসবে নিয়োগ দিয়েছেন রাজাপাকসে।
চিনি, চাল, পেঁয়াজ এবং আলুর ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পর শ্রীলঙ্কার সরকার এমন পদক্ষেপ নিলো। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আগামী সোমবার পর্যন্ত ১৬ দিনের কারফিউ রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারপরও গুঁড়ো দুধ, কেরোসিন তেল এবং রান্নার গ্যাসের জন্য দোকানের বাইরে দীর্ঘ লাইন গেছে।
শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যমন্ত্রী বান্দুলা গুণবর্ধেনা বলেছেন, কিছু ব্যবসায়ী মজুদ করে রাখছেন। ফলে খাদ্য সামগ্রীর ঘাটতি হচ্ছে এবং জনসাধারণের অসুবিধা হচ্ছে।
খাদ্য মজুদ করার সাজা বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু এরপরও খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। মূলত মহামারির কারণে দেশটিতে এই খাদ্যের সংকট তৈরি হয়েছে।
মহামারির কারণে ২০২০ সালে দেশটির অর্থনীতি রেকর্ড ৩.৬ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়। এমতাবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানোর জন্য গত বছরের মার্চ মাসে ভোজ্য তেল, হলুদ, যানবাহন এবং অন্যান্য জিনিস আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।
আমদানিকারকরা বলছেন, অনুমতি আছে এমন খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ কেনার জন্য এখনও প্রয়োজনীয় ডলার যোগাড় করতে পারছেন না তারা।
বিএসডি/এএ