ডেস্ক রিপোর্ট
আজীবন জম্মু ও কাশ্মিরের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃতদেহ স্বজনদের দাফন করতে দেয়নি ভারতীয় পুলিশ। এমনকি তার জানাজায়ও অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি স্বজনদের। বৃহস্পতিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার রাতে শ্রীনগরে নিজের বাড়িতেই ৯২ বছর বয়সী গিলানির মৃত্যু হয়। স্বাধীনতাকামী এই নেতা গত ১১ বছরের বেশিরভাগ সময় গৃহবন্দি ছিলেন। কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে যে কোনো ধরনের আলোচনার ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মিরের বিধানসভায় ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে জামাত-ই-ইসলামির প্রতিনিধিত্ব করেছেন গিলানি। ২০১৯ সালে মোদি সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
গিলানির মৃত্যুর পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শ্রীনগরের নিরাপত্তা জোরদার করে। একইসঙ্গে গিলানির বাড়ির আশপাশের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।
গিলানির ছেলে নাসিম অভিযোগ করেছেন, তার বাবার ‘মৃতদেহ পুলিশ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এবং জোর করে দাফন করেছে।’
তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম সকাল ১০টায় আমরা তার দাফন করব, যাতে দূরে থাকা আমাদের স্বজনরা আসতে পারে। কিন্তু তারা (পুলিশ) রাত ৩টায় তার মৃতদেহ জোর করে নিয়ে যায় এবং আমাদের কাউকে তার জানাজায় অংশ নিতে দেয়নি। এমনকি পরিবারের যে নারী সদস্যরা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ায় বাধা দিয়েছিল তাদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে ছিল পুলিশ।’
নাসিম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পরিবারের সদস্যদের কেবল তার বাবার কবর দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিএসডি/এমএম