আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
মিয়ানমারের জাতিগত বিদ্রোহীরা চীনের সীমান্তের কাছে লড়াইয়ে কমপক্ষে ২৩ জন সরকারি সৈন্যকে হত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র এ কথা জানান। ফেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। এর জেরে গত কয়েকমাস ধরে সেখানে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, জাতিগত লড়াই চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় শান রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চল মঙ্কুতে সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় গত ২৮ আগস্ট। সরকারি বাহিনী স্থানীয় মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) একটি ঘাঁটি নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমএনডিএএ’র একজন মুখপাত্র জানান, তারা আমাদের ঘাঁটি দখল করতে এসেছিল। যখন নিচ থেকে ঘাঁটিতে উঠে আসতে চেষ্টা করে, তখনই আমরা তাদেরকে গুলি করেছিলাম। ফলে তাদের অনেকেই হতাহত হয়। ২৮ আগস্ট ১৫ জন সেনা নিহত হয়, ১ সেপ্টেম্বর মারা যায় আরো ৮ জন। এ সময় এমএনডিএএ’র ১ জন সদস্য মারা যায়।
সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, ২৮ আগস্ট মঙ্কুতে এমএনডিএএর সঙ্গে লড়াইয়ে একজন সেনা কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকজন সাধারণ সেনা নিহত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ের সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।
মিয়ানমারে ২০টিরও বেশি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে, যাদের বেশিরভাগেরই অবস্থান দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমারের একটি কোম্পানির ওপর সম্প্রতি নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন। এ বছরের প্রথম দিকে হওয়া অভ্যুত্থানে দেশটির সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র ও আর্থিক সাহায্য দিয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে কোম্পানিটি।
তারা সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে অস্ত্রের ব্যবসা করে থাকে। একইসঙ্গে ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যায়ও এই কোম্পানির অর্থায়ন রয়েছে। এসব অভিযোগে হতু গ্রুপের কোম্পানিগুলো ও এর প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএসডি/এএ