পল্টন থানায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’
তখন মামুনুল হক বলেন, ‘বায়তুল মোকাররমের ঘটনার দিন আমি বাংলাবাজার মসজিদে ইমামতি করছিলাম। নামাজের পর আমি মসজিদে বসে ছিলাম। সে সময় পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদায় একজন আমাকে ফোন করে বলেন, মামুনুল হক সাহেব আমরা তো বিপদে আছি। বায়তুল মোকাররমে আপনাদের কর্মীদের সাথে আমাদের পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। মসজিদের ভেতরে আপনাদের অনেকে আটকা আছে। আপনি যদি সেখানে যেতেন তাহলে ভালো হতো। আমি তার অনুরোধে বায়তুল মোকাররমে যাই।’
এরপর দুই মামলায় মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরি শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন মোহাম্মদপুর থানার নাশকতার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় মতিঝিল থানার মামলা ও চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকারমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দশ দিন করে মোট বিশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে পল্টন থানার মামলায় চার দিন ও মতিঝিল থানার মামলায় তিন দিন করে মোট ৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৯ এপ্রিল ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল হক। শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সেদিন তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৮ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের কর্মীরা। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়।
এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে বায়তুল মোকারমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।