অর্থনীতি ডেস্ক,
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির মাংসের দাম কেজিতে আরও ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। ফলে গত দুই সপ্তাহে ব্রয়লার দাম বাড়ল কেজিতে ২০-২৫ টাকা। মুরগির মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। এছাড়াও বেড়েছে মরিচ, ঢ্যাঁড়শসহ বেশ কিছু সবজির দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার ফলে আফিস-আদালত, জন্মদিন ও বিয়েসহ সামাজিক শুরু হয়েছে। মানুষ কর্মস্থলেও ফিরেছে। তাতে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে মুরগির মাংসের দামও বাড়ছে।
আজ (রোববার) রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগি ছাড়াও সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা দরে।
মুরগির মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। ব্রয়লার মুরগির সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা ডজন। আর লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ডজনে। হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা ডজন।
এদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের দরে কেনা-বেচা হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস।
সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন মিয়া বলেন, মুরগির দাম বাড়তি। এখন দেশে করোনার কোনো প্রভাব নেই। ফলে সকল হোটেল রেস্তোরাঁ খুলেছে। অফিস-আদালত খোলায় মানুষ ঘরের চেয়ে বাইরে বেশি খাবার খাচ্ছে। সব মিলিয়ে মুরগির মাংসের কদর বেড়েছে। এ কারণে দামও বেড়েছে।
ওই বাজারে মুরগি কিনতে আসা ক্রেতা এহসানুল করিম বলেন, তিনদিন আগেও মুরগি কিনেছি ১৩৫ টাকা কেজি দরে। আজকে কিনতে হয়েছে ১৫০ টাকা কেজিতে। তেল, চাল, ডাল এবং চিনির পর এবার মুরগির দামও বেড়েছে। এই দাম আর কমবে বলে মনে হচ্ছে না।
এছাড়া বাজারগুলোতে দেখা গেছে, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। এর মধ্যে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে। প্রকার ভেদে ৯০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। আর আদমানি করা বড় দানার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা কেজিতে।
কাঁচামরিচের দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজিতে। কেজি প্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। বেগুন ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স ও ধোন্দল ৫০ টাকা, দেশি শসা ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৭-৪০ টাকা কেজিতে। আর খোলা পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৫-২৮ টাকা দরে। বাজারে বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ টাকা লিটার। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৯৫-৭০০ টাকায়।
বিএসডি/ আইপি